স্বামীর হক স্ত্রীর উপর
কুরআনে আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর উপর স্বামীর দুটি প্রধান ও মৌলিক হক নির্ধারণ করেছেন যার অধীনে যাবতীয় হকের আলোচনা এসে যায়।
ইরশাদ হয়েছে- فالصلحت قنتت حفظت للغيب بما حفظ الله
(তো নেক স্ত্রীগণ অনুগত হয়ে থাকে এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর হক সমূহের হেফাজত করে থাকে আল্লাহর দেয়া হেফাজত দ্বারা।)
স্ত্রীর উপর স্বামীর মৌলিক দুটি হক
প্রথম হক হল, স্বামীর প্রতি অনুগত হওয়া, যার প্রকার-প্রকৃতি ও পরিধি সুনির্দিষ্টভাবে শরীয়তে আলোচিত হয়েছে।
দ্বিতীয় স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার হক সমূহের হেফাজত করা।
এর মধ্যে স্বামীর ঘর, সম্পদ, সন্তান-সন্ততির দেখভাল এবং আপন লজ্জাস্থানের হেফাযত, এসবই এর অন্তর্ভুক্ত।
হাদীস শরীফে এসেছে যদি আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদা করার হুকুম দেওয়া হতো তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দেওয়া হতো স্বামীকে সিজদা করার
আরো ইরশাদ হয়েছে যে স্ত্রী এমন অবস্থায় মারা যায় যে স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে ।
আরো ইরশাদ হয়েছে যে স্ত্রীকে তার স্বামী বিছানায় ডাকলো আর সে কোন ওজর ছাড়া তাতে সাড়া দিল না,
আর স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকলো ফিরিশতারা ভোর পর্যন্ত ওই স্ত্রীকে অভিশাপ দিতে থাকে।
যেহেতু দাম্পত্য বিশ্বস্থতা রক্ষার ক্ষেত্রে জৈবিক চাহিদা পূরণ হওয়ার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
আর এক্ষেত্রে প্রকৃতিগতভাবেই নারী হচ্ছে অন্তর্মুখী ও স্থিরা,পক্ষান্তরে পুরুষ হচ্ছে বহির্মুখী ও অস্থির,
সেহেতু স্বামীকে প্রয়োজনীয় সঙ্গদানের জন্য এতটা কঠিন তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তবে সেই সঙ্গে পুরুষের স্বেচ্ছাচারিতাকেও প্রয়োজনীয় লাগাম দেওয়া হয়েছে সদাচারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এবং আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দেওয়ার মাধ্যমে।
বস্তুত নারী-পুরুষ উভয়ে যদি ইসলামের দাম্পত্য বিধানকে পূর্ণরূপে পালন করে এবং
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদর্শরূপে গ্রহণ করে জীবন যাপন করে তাহলে অবশ্যই আমাদের পারিবারিক জীবন শান্তিপূর্ণ হবে।
পক্ষান্তরে নারী-পুরুষ উভয়েরই ইসলাম থেকে দূরে যাওয়ার বিষ ফল তো আমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি।
আরো পড়ুন 👉👉 আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য, স্ত্রীর ভালবাসা অর্জন করতে সকল স্বামীদের প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ, স্ত্রী মারা গেলে মহরের টাকা কে পাবে