মুসলিমবিডি২৪ডটকম
আল্লাহ জা লি মদের ছাড় দিলেও ছেড়ে যে দেন না, এর অন্যতম প্রমাণ দেখা যাচ্ছে তাতমাদো (মিয়ানমারের সামরিক জান্তা)-এর ক্ষেত্রে।
তারা কী জু লু মটাই না করেছিল রাখাইনের রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের ওপর!
সে সময় AA (আ রা কা ন আর্মি) যে ম জ লু ম রোহিঙ্গাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, বিষয়টি এমন নয়।
বরং জাতিগত বিরোধ থেকে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করেছে। অং সান সু চির দালালিও কি ভোলার মতো?
যেই জান্তার দালালি করেছিল শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই অশান্তিকামী মহিলা,
তারাই কিনা বহু বছর ধরে তাকে জেলে ভরে রেখেছে।
অযথা এই বাহিনীর মনোরঞ্জনের জন্য আদর্শচ্যুত হওয়ার দরকারই বা কী ছিল!
আদর্শের ওপর থাকলে মজলুম হলেও অন্তত মানুষের ভালোবাসা পেত।হৃদয়রাজ্যে তাকে একচ্ছত্র আধিপত্য দিয়ে রাখত।
এখন তো আমও গেল, ছালাও গেল
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সবাই জাগে। থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্স এর প্রকৃষ্ট নমুনা।
মিয়ানমার আর্মির সংখ্যা যেখানে মাত্র দেড় লাখ, ইতোমধ্যে সেখানে বিদ্রোহীদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ।
এছাড়াও আমেরিকা, চীন ও ভারতের গোপন খেলা তো আছেই।
মাঝখানে দীন-দুনিয়া দুটোই হারাল হাইব্রিড মস্তিষ্কের আ র সা।
তারা পারত জনতার আস্থার প্রতীক হতে। কিন্তু ভুল স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করে জনতাকে অযথা দুর্বিষহ
জীবনে ঠেলে দিয়েও পারল না আর কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে।
আবেগ থাকা ভালো; কিন্তু বিবেককে এড়িয়ে নয়। অর্ধযুগ আগে
আতাউল্লাহ জু নু নিকে নিয়ে কত মানুষ কত আশার আলো দেখেছে।
তাকে জামানার সালাহুদ্দীন, তারেক ও মাহমুদ মনে করে বসেছে। দিনশেষে নৈরাশ্য ছাড়া নসিবে আর কিছু জোটেনি।
এক রোহিঙ্গা জাতিকে কেন্দ্র করে কত দল কত বাণিজ্যই না করল!
মিছে স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেদের সাধ ও অভিলাষ ঠিকই পূরণ করল।
এক মুরগীকে কয়বার কাটা যায়; কিন্তু এই অসহায় জাতিকে অসংখ্যবার কাটা হয়েছে।
তাদের পরে ময়দানে নেমেও কত জাতি স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।
কিন্তু তাদের প্রমোশন তো হয়ইনি; উলটো ডিমোশন হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
মিয়ানমারের স্বাধীনতা সম্ভবত এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্সের হাতে ইতোমধ্যে দেশের ৭০% চলে গেছে।
মিন অং হ্লাইংকেও দুদিন আগে বা পরে পদত্যাগ করতে হবেই হবে।
অন্যথায় তার বহু সামরিক অফিসারের মতো তাকেও হয়তো অন্ধকার পরিণতি বরণ করতে হবে।
এরপর কী হবে? স্বায়ত্তশাসন? গণতন্ত্র? কোনো সুপারপাওয়ারের দালালিতন্ত্র?
আরো জানুন👉 ইসলামের দৃষ্টিতে গনতন্ত্র সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ
যা-ই হোক, তাতে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সরাসরি কোনো ফায়দা হবে বলে মনে হয় না।
এমনকি রোহিঙ্গাদের কপালেও আগামী দিনে কী আছে, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য অংশ অবশ্য মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে।
অবশিষ্টরাও ওসব জায়গায় চলে যেতে পারলে হয়তো দুনিয়ার বিবেচনায় ভালো থাকবে।
না হলে রিফিউজি থেকে থেকে পশ্চিমাদের বিছানো ফাঁদে পড়ে ঈমান বাঁচানোই তাদের জন্য দায় হয়ে যাবে।
অন্তত পরবর্তী প্রজন্ম লিবারেল, সেক্যুলার, মডারেট, মডার্নিস্ট বা বিধর্মী হয়ে যাওয়ারও সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
হায় রাখাইন! তোমাকে নিয়ে কত কবি কবিতা লিখল। কত শিল্পী গান গাইল।
কত স্বপ্নদ্রষ্টা রকমারি স্বপ্ন দেখল। দিনশেষে তুমি আর ইসলামের হলে না!
হবে হয়তো কোনো একদিন। কিন্তু তা যে কবে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেই-বা বলতে পারে!
সূত্র: শায়খ আলী হাসান উসামা হাফিঃ এর টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত।