(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
PUBG GAME খেলার শরঈ হুকুম
পশ্চিমা দেশগুলো জয় করে এখন আমাদের দেশেও PUBG GAME, ফ্রি ফায়ার এর মতো অসংখ্য ভিডিও গেইম ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
যারা এই গেইম খেলেছে এবং যারা তা প্রত্যক্ষ করেছে, তাদের সুত্রে যতটুকু জানা গেছে তার ওপর ভিত্তি করে আমরা কিছু কারণ বের করেছি।
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এই খেলাটিও জায়েয নয়। কারণগুলো হলো :-
১/ এই খেলাগুলোতে দ্বীনি ও দৈহিক কোনো উপকার নেই। আর যেই খেলার মধ্যে দ্বীনি ও দৈহিক কোনো উপকারীতা নেই, সেই খেলা জায়েয নয়।
২/ এর মধ্যে সময়, অর্থের অপচয় ঘটে। এটি আল্লাহর স্বরণ থেকেও গাফেল করে দেয়। এমনকি এর কারণে নামাজের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ
বিধানের ওপরও গাফলতি চলে আসে। এমনও দেখা গেছে যে, রমযানুল মুবারকে তারাবিহ ছেড়ে এই খেলার মধ্যে মত্ত হয়ে আছে।
৩/ এর বড় একটি ক্ষতি হলো, এই খেলার অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা ছাড়া মুশকিল হয়ে যায়।
৪/ অনেকগুলো গেইমে ছবি ও ভিডিও থাকে। এবং তার চিত্রগুলো খুবই স্পষ্ট হয়ে থাকে; যা শরিয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয।
৫/ এই খেলার মাধ্যমে বালকেরা মনের খুশি ও স্বাদ লাভ করে। অথচ কোনো নাজায়েয জিনিস থেকে মজা নেওয়াও শরীয়তে হারাম।
অনেক ফিকাহবিদ তো একে কুফরি বলেও অভিমত পেশ করেছেন।
এছাড়াও এই খেলাটির কারণে শিশুদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়। তার পড়া লেখার খুবই ব্যাঘাত ঘটে। এই খেলায় মত্ত হয়ে পড়লে পড়া-লেখাসহ অন্যান্য
গঠনমূলক কাজে তার মনে আগ্রহ থাকে না।
উক্ত কারণসমুহ বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্বান্তে উপনিত হচ্ছি যে, এই খেলাটিও আল্লাহ তায়ালার নিম্নের হুকুমের আওতায় পড়ছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন: এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা লোকদেরকে আল্লাহর পথ হতে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে মনোরনঞ্জক গান, বাদ্যযন্ত্র ক্রয় করে
এবং একে তারা প্রমোদরূপে গ্রহণ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।
(সুরা লুকমান ৬)
হযরত হাসান রহ. বলেন, উল্লেখিত আয়াতে (লাহওয়াল হাদিস)মনোরঞ্জক গান-বাদ্যযন্ত্র বলতে বুঝানো হয়েছে প্রত্যেক ঐ জিনিস;
যা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও স্বরণ থেকে গাফেল করে দেয়। যেমন: উপকারীতাশূন্য খেল-তামাশা, অর্থহীন গাল-গল্প, হাসি-ঠাট্রা ও বাজে কথার মধ্যে লিপ্ততা এবং গান-বাদ্য ইত্যাদি।
এখানে একটি কথা স্পষ্ট করা দরকার যে, যদিও একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, কিন্ত শাব্দিক ব্যপকতার কারণে তার বিধান
ব্যপক থাকবে। কাজেই যে খেলাতেই অনর্থক অর্থ ও সময়ের অপচয় ঘটবে, সেই খেলাটি উক্ত আয়াতের নিন্দার আওতায় পড়বে।
যেহেতু ভিডিও গেমসের মধ্যে উক্ত অনিষ্টতাগুলো রয়েছে, একারণে এই খেলাটি নাজায়েয। এবং এর মাধ্যে সময় ও অর্থ ব্যয় করাও নাজায়েয।
আপকে মাসাইল: ৭/৩৩৬
আরও পড়ুন:👇
ইসলাম ধর্মের বিধান নিয়ে হাসা-হাসির উল্টো ফল
রেফার করলেই টাকা
ষাঁড়ের লড়াই
মাজারে গরু ছাগল নিয়ে যাওয়া