Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব
Ideal family by M.afjol

স্ত্রী হিসেবে করণীয়

 

(1)সংসারের প্রতিটি কাজকে ইবাদত মনে করা।

 

(2)নিজেকে পরিবারের প্রাণ মনে করা।

(3)স্বামীকে বন্ধু, জীবনসঙ্গী, দিশারী ও পারিবারিক প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা।

 

(4) স্বামীকে লুকিয়ে কোন কাজ না করা। (সারপ্রাইজ দেয়া,এগুলো ভিন্ন)

 

(5) স্বামীর ভালো কাজ, অব ও কৃতিত্বের জন্যে গর্ববোধ করা।

 

(6)স্বামীর প্রতি সর্বা্থায় বিশ্বস্ত থাকা এবং ভালোবাসা ও অনুরাগ কথা ও আচরণে প্রকাশ করা।

 

(7) স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে আসার সাথে সাথে কোন সমস্যা বা অভিযোগ না করা।

 

(8) কোন ভুল বা অন্যায় হয়ে গেলে নিঃসঙ্কোচে তা স্বীকার করা বা স্বামীর কাছে মাফ চেয়ে নেয়া।

 

(9) নিজের হাত খরচা থেকে কখনও কখনও স্বামীর জন্যে ছোটখাট উপহার কেনা।

 

(10) প্রয়োজনে নিজের অর্জিত অর্থ স্বামী ও সংসারের জন্যে খরচ করা।

 

(11) স্বামীর কাছে কোন অযৌক্তিক আবদার না করা।

 

(12) স্বামীর যুক্তিসঙ্গত সম্পর্কে ধারণা রাখা। আয়ের মধ্যেই সংসারের খরচ সীমিত রাখা।

 

(13) অতিরিক্ত খরচ ও চাপ সৃষ্টি করে স্বামীকে দুর্নীতিপরায়ণ হতে বাধ্য না করা।

 

(14) যে কোন বিপদে বা সংকটে স্বামীর পাশে অটল পাহাড়ের ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকা।

 

(15) স্বামীর অগোচরে কাউকে কিছু না দেয়া। এতে সম্পর্কে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

 

(16) স্বামীর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খোঁটা না দেয়া।

 

(17) শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে নিজের বাবা-মায়ের মত শ্রদ্ধা করা।

 

(18) ঘরের খুঁটিনাটি সমস্যা নিজেই সমাধানে সচেষ্ট থাকা।

 

(19)সন্তানের সামনে স্বামীর সাথে না করা এবং তার ভুল-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা না করা।

 

(20) জীবী হলেও সন্তান ও সংসারের ব্যাপারে যাতে কোন অবহেলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।

 

(21) স্বামীর যে কোন অক্ষমতাকে সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা।

 

(22)আত্ম উন্নয়ন ও আত্মিক উন্নয়নের কাজে স্বামীকে সহযোগিতা করা। অন্যের কাছে স্বামীকে ছোট না করা।

 

(23) মা হিসেবে সন্তানের মাঝে মহৎ াবলীকে বিকশিত চেষ্টা করা।

 

(24)সকল ধরনের অপচয়ের বিরুদ্ধে পরিবারের সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

 

(25) রাগ না করা। নিজের কষ্টকে বড় করে না দেখা। অকৃতজ্ঞ না হওয়া।

 

(26)ঘর-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাখা।

 

(27) স্বামীর পছন্দের রান্না করে খাওয়ানো।

 

(28) স্বামীর সাথে কখনো কখনো ইচ্ছে করে একটু অভিমান করা।

 

(29)সর্বদা স্বামীকে হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করা।

 

(30) স্বামীর যেকোনো সমস্যায় স্বামীর পাশে থাকা। স্বামীকে সাহস জোগানো।

 

(31) দুজনে একসাথে তাহাজ্জুদ আদায় করা। নেক সন্তান কামনা করা।

 

স্বামী হিসেবে করণীয়

 

(1)পরিবারের দায়িত্ব পালনকে ইবাদত মনে করা।

 

(2) স্বামী হিসেবে নিজেকে পরিবারের প্রধান দায়িত্বশীল মনে করা।

 

(3)পারিবারিক প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করা।

 

(4)স্ত্রীর ভাল কাজ, অবদান ও কৃতিত্বের প্রশংসা করা।

 

(5)স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা এবং ভালোবাসা ও অনুরাগ, কথা ও আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা।

(6)কর্মস্থলের বা বাইরের রাগ, ক্ষোভ, ঘরের স্ত্রী-সন্তান বা গৃহকর্মীর উপর প্রকাশ একদমই না করা।

 

(7) নিজের ভুল নিঃসঙ্কোচে স্ত্রীর নিকট স্বীকার করা। অন্যায় করলে মাফ চেয়ে নেয়া।

 

(8)আয় অনুসারে স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণ, ছোটখাট উপহার দেয়া ও হাতখরচা প্রদান করা এবং হাতখরচা ব্যয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস না করা।

 

(9) পিতা কিংবা স্বামী হতে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ ব্যয়ে স্ত্রীকে স্বাধীনতা প্রদান করা।

 

(10) স্ত্রীর যুক্তি সঙ্গত আবদার পূরণ করা।

 

(11) নিজের আয় সম্পর্কে প্রথম থেকেই স্ত্রীকে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া ও অবৈধ পন্থায় অর্থোপার্জন না করা।

 

(12) পেশাগত বা পারিবারিক সংকট দেখা দিলে স্ত্রীর সাথে তা খোলামেলা আলোচনা করা।

 

(13) আত্মীয়-স্বজনকে উপহার বা সাহায্য করার ব্যাপারে স্ত্রীকে অযৌক্তিক বাধা না দেয়া।

 

(14) স্ত্রীর আত্মীয়দের নিয়ে তাকে কথা না শোনানো।

 

(15) স্ত্রীর মা-বাবাকে নিজের মা-বাবার মত শ্রদ্ধা করা।

 

(16) ঘরের খুঁটিনাটি ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা। ঘরের কাজে স্ত্রী কে সাধ্যমত সাহায্য করা।

 

(17) স্ত্রীর ভুল-ত্রুটি নিয়ে সন্তানদের সামনে ভর্ৎসনা না করা।

 

(18) সপ্তাহে একদিন পুরোপুরি স্ত্রী-কে নিয়ে কাটানো।

 

(19) ঘরের প্রতিটি কাজ এমনি রান্নাবান্নায়ও পিকনিকের মতো অংশ নেয়া।

 

(20) স্ত্রীর যে কোন ভুল-ত্রুটিকে সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা।

 

(21)অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম না করা।

 

(22) পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সদা সচেষ্ট থাকা।

 

(23) অর্থ অপচয় না করা। আবেগ প্রসূত অত্যধিক কেনাকাটা না করা।

 

(24)নিজের দোষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা।

 

(25) স্ত্রীর শারীরিক খোঁজখবর নিয়মিত জিজ্ঞেস করা। হলে নিজে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া।

 

(26) স্ত্রীর যে কোন অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনা। কোন প্রস্তাব বা কথায় প্রথমেই না বলা থেকে বিরত থাকা।

 

(27) স্ত্রীর সাথে করা,কৌতুক করা, তাকে বেশি বেশি সময় দেয়া।

 

মাঝে মাঝে নিজ হাতে রান্না করে স্ত্রীকে খাওয়ানো।

 

২৯. বাইরে কাজ আছে বলে ক্লাব বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ফালতু আড্ডায় সময় নষ্ট না করে

 

পরিবারেরআত্মিক ও মানসিক উন্নতির জন্যে সময় ব্যয় করা।

 

৩০. মাঝে মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। অথবা দূরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।

 

৩১. সাধ্য থাকলে প্রতিদিন রাতে বাসায় ফেরার সময় স্ত্রীর জন্য ছোট-খাট উপহার নিয়ে আসা (গোলাপ-চকলেট) ইত্যাদি

 

৩২. স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে তাহাজ্জুদ আদায় করা,দু'আ করা।

 

৩৩. স্ত্রীকে নিয়ে অন্তত সপ্তাহে একদিন একান্তে সময় কাটানো। আলাদাভাবে সময় দেয়া।

আরো পড়ুন 👉অবাধ্য স্বামীকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট ও দ্বীনের পথে আনার পদ্ধতি,
স্ত্রীর ভালবাসা অর্জন করতে সকল স্বামীদের প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ, বিবাহ ও দাম্পত্য জীবন

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

কেন মানুষের অন্তর কঠোর হয়

যেসব কারণে অন্তর শক্ত হয়

কলব মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুস্থ কলব মানুষকে কল্যাণের পথদেখায়। আর অসুস্থ কলব মানুষকে কুপথে নিয়ে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost