দ্বীনী বিষয় শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয, আর দ্বীনি বিষয় শিক্ষা করতে হবে আলেমদের তত্বাবধানে।
অন্যথায় গোমরাহীতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল থাকে। যোখন আলেমদের থেকে দ্বীনি বিষয় শিখতে যাবে,তখন তাদের মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক তৈরি হবে।
ছাত্র সর্বদা তার শিক্ষকের সাথে সু সম্পর্ক রাখতে হবে। কেননা ছাত্র-শিক্ষক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা আবশ্যক।
শিক্ষকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কুরআনুল কারীম হিফজ প্রক্রিয়ায় মৌলিক স্তম্ভের অন্তর্ভুক্ত।
এরূপ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের গুরুত্বের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন উচিত হবে না। কেননা, কোরআন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারস্পরিক গ্রহণ প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল।
গ্রহণকারী প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজন অনুভব করে এমন ব্যক্তির যিনি তাকে দিকনির্দেশনা দিবেন।
শিক্ষক ও পূর্ণ দায়িত্বশীলের মত তাকে নিয়ে যাবেন হিফজের আদর্শপন্থার দিকে।
প্রথমত শিক্ষকের কাছে কেরাত বিশুদ্ধ করা শুরু করবে। বস্তুত কুরআন সহীহ করে পাঠ করা কোরআন আহরণকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
হযরত লোকমান হাকিম তার ছেলেকে বলেন প্রিয় বৎস! জ্ঞান অর্জনে কি পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছ? ছেলে বলল অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারে কখনো নাক গলাতে যাই না।
লোকমান হাকিম বললেন, প্রিয় বৎস! একটি বিষয় রয়ে গেল। আলেমদের সান্নিধ্য নাও। এবং হাঁটুদয় পেতে তাদের সামনে বস।
কারণআল্লাহ তাআলা যেমন শুষ্ক মাটিকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করে সজীব করে তুলেন, অনুরূপ আলেমদের সামনে বিনয়ের সহীত নিজেকে পরিবেশন করার দ্বারা নিজের দিল সতেজ ও সজীব হয়ে যাবে।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন তোমরা আলেম হও, নতুবা আলেমের ছাত্র হও, যদি তা হতে না পারো, তবে আলেমের সাহায্যকারী হও। খবরদার আলেমের শত্রু হইয়ো না।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে যারা আলেমদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি যুদ্ধ ঘোষণা করেন। (নাউজুবিল্লাহ)
একজন আলেমের যথাযথ সম্মান দেওয়ার তাওফীক আল্লাহ আমাদের দান করুন।