(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
জুম'আর দিনের বিশেষ আমল ও ফজিলত
সপ্তাহের শ্রেষ্ট ও পবিত্র দিন হলো জুমআর দিন বা শুক্রবার। এদিন সাপ্তহিক ইদের দিন, ইবাদতের দিন। এদিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অনেক দামী ।
তাই আসুন! আমরা জেনে নেই এই দিনের বিশেষ আমলসমুহ।
বিশেষ আমলসমুহ
১/ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সেরে তাড়াতাড়ি গোসল করা।
২/ তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া।
৩/ পায়ে হেটে মসজিদে যাওয়া। কোনো বাহনে আরোহণ না করা।
৪/ যথা সম্ভব ইমাম সাহেবের কাছে বসার চেষ্টা করা।
৫/ মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করা।
৬/ খুতবা চলাকালীন সময় কোনো কাজ না করা ও কোনো কথা না বলা।
হাদিস:- হযরত আউস ইবনে আউস সাকাফী রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সা. ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি জুমআর দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে
উত্তমরূপে গোসল করবে, পায়ে হেটে মসজিদে যাবে, কোনো বাহনে আরোহণ করবে না এবং ইমাম সাহেবের নিকটে বসে মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ
করবে তাহলে তার প্রতি কদমে এক বৎসরের নফল নামাজ ও এক বৎসরের নফল রোযার সম পরিমাণ সাওয়াব অর্জন হবে।
এছাড়াও জুমআর দিনে আরো কিছু আমল করা সুন্নাত।
১/ বেশী বেশী দুরুদ শরীফ পাঠ করা।
২/ সূরায়ে কাহাফ তেলাওয়াত করা।
৩/ উত্তম কাপড় পরিধান করা।
৪/ সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহের নামাজ আদায় করা।
৫/ সুর্যাস্তের কিছুক্ষণ পূর্ব হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত দুআ, যিকির অথবা অন্যান্য আমলে মশগুল থাকা।
৬/ আসরের নামাজের পর নিজ স্থানে বসে নিম্নে বর্ণিত দুরুদ শরীফ ৮০ বার পাঠ করা।
দুরুদ শরীফ:- (আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়ালা আলিহি ওয়া সাল্লিম তাসলিমা)।
ফজিলত: এই দুরুদ শরীফের ফজিলত এই যে, এর আমলকারীর আমলনামায় ৮০ বৎসরের নফল ইবাদতের সাওয়াব অর্জন হবে।
এবং ৮০ বৎসরের সগিরা গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ফজিলত বুঝে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন!!!
আরও পড়ুন:
জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল।
জুমুআর খুৎবার শরয়ী মাক্বাম
জুমুআর প্রথম আযানের পর কর্মরত থাকা
জুমুআর দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত
জুমার নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
জুমার নামাজের ছয়টি শর্ত ও জুমার বিস্তারিত আলোচনা