প্রশ্ন: তাজবীদ কাকে বলে? তার আলোচ্য বিষয় কি? উত্তর: প্রতিটি হরফকে তার নিজ নিজ মাখরাজ থেকে সিফাতসহ উচ্চারণ করে পড়াকে তাজবীদ বলে। কোরআন মজীদের শব্দাবলী হচ্ছে, ইলমে তাজবীদের আলোচ্য বিষয়। প্রশ্ন: ইলমে তাজবীদ শিক্ষা করা কি? এবং এর ফায়দা কি? উত্তর: ইলমে তাজবীদ শিক্ষা করা ফরজে কিফায়া। কোরআন মজীদ তিলাওয়াতে …
Read More »বিষয়বস্তুর দৃষ্টিতে হাদীসের প্রকারভেদ
শাহ অলীউল্লাহ লেহলভী তার মশহুর গ্রন্থ হুজ্জাতুল্লাহিল বলিগায়ে হাদীসের আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, হুজুর (সা:) থেকে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা সাধারণত দু’প্রকার। ১) যাতে তার নবুয়ত ও রেসালাতের দায়িত্ব সম্পর্কীয় বিষয়াদি বর্ণিত হয়েছে। যেমন যে সব হাদীসে পরকালীন জীবনের বিভিন্ন বিষয়াদি ও অবস্থা এবং উর্ধ্ব জগতের অভিনব অবস্থানসমূহের …
Read More »হাদীসের উৎস
হাদীসের উৎস হয় অহী নতুবা হুজুরের ইজতেহাদ, হুজুরের প্রতি যে অহী নাজিল হতো তা ছিল দু’প্রকারের। ১) যা হুজুরকে তেলাওয়াত করে শুনান হতো এবং যার শব্দ ও বাক্য হুবহু বজায় রাখার জন্য হুজুর (সা:) আদিষ্ট ছিলেন। এই শ্রেনীর অহীকে “অহীয়ে মাতলু” বলা হয়। নামাজে কেবলমাত্র এই শ্রেণীর অহীরই তেলাওয়াত চলে। …
Read More »হাদীসের সংজ্ঞা ও পরিচয়
রাসূল (সা:)-কথা, ও কাজ ও সমর্থনকে বলা হয়, অর্থাৎ রাসূল হিসেবে হুজুর যে কথা বলেছেন, যে সব কাজ করেছেন, এবং সাহাবীদেরকে যে সব কাজ করতে দেখে সমর্থন দিয়েছেন তা হলো হাদীস। হাদীসের পরিচয় দিতে গিয়ে বুখারী শরীফের ভূমিকায় বলা হয়েছে: “হাদীস এমন এলমকে বলা হয় যার মাধ্যমে নবী কারীম (সা:) …
Read More »মদের হুকুম কি? মদ কি ধরণের নাজাসাত
আংগুরের কাচা রস থেকে তৈরি মদ যদি নেশা সৃষ্টি করে এবং তাতে ফেনা ওঠে তবে তা নাজাসাতে গলিজা এবং নিশ্চিত হারাম। এই হারামকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে। যে শরাব কাচা খেজুর অথবা কিসমিস থেকে তৈরি করা তাতে যদি নেশা সৃষ্টি হয়। আর যদি ফেনা উঠে বা নেশা সৃষ্টির জন্য …
Read More »কোন কোন মালের উপর যাকাত ওয়াজিব হয় না?
মালে যেমার অর্থাৎ হারানো মাল অথবা গভীর সমুদ্রে নিমজ্জিত মাল অথবা ছিনতাইকৃত মাল, যার উপর কোন সাক্ষ্য নেই বা যে মাল জঙ্গলে পুতে রাখা হয়েছিল, কিন্তু স্থান ভুলে গেছে অথবা কাউকে ঋণ দেয়া হয়েছিল, তবে ঔ ব্যক্তি ঋণ অস্বীকার করছে এবং এ ব্যাপারে কোন সাক্ষ্য নেই, বাদশাহ বা এ ধরণের …
Read More »যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হয়
যদি রমজানে কারো দুই বা ততোধিক রোজা ভেঙ্গে যায়, আর যদি প্রথম রোজা ভঙ্গের পরেই কাফফারা আদায় করে ফেলে। তাহলে দ্বিতীয় কাফফারা পৃথকভাবে আদায় করতে হবে। অনুরূপভ তৃতীয়, চতুর্থ বা পরবর্তী রোজার একই হুকুম। আর যদি রমজানের প্রথম দিকের ভেঙ্গে ফেলা রোজার কাফফারা শেষ রোজা পর্যন্ত আদায় না করে থাকে। …
Read More »যে তাসবীহ একবার পাঠ করিলে জান্নাতে একটি গাছ লাগানো হয়
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, মেরাজের রাত্রে ইব্রাহিম (আ:) এর সহিত আমার সাক্ষাত হয়। তিনি বলিলেন, হে মোহাম্মদ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার উম্মতকে আমার তরফ হইতে সালাম বলিবেন। আর তাঁহাদিগকে এই সংবাদ দিবেন যে, বেহেশতের মাটি বড় উর্বর, উহার পানিও সুমিষ্ট কিন্তু উহা একেবারে শুন্য ময়দান। উহার …
Read More »নামাজে সুন্নত কেরাত সমূহ
কেরাতের সুন্নত তরীকা হলো,মুকীম ব্যক্তি নিরাপদ ও শান্ত অবস্থায় থাকলে ফজর ও জোহরের নামাজে তেওয়ালে মুফাসসাল পড়বে। তেওয়ালে মুফাসসাল হচ্ছে সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত সূরা সমূহ। আসর ও এশার নামাজে আউসাতে মুফাসসাল পড়বে। আউসাতে মুফাসসাল হল, সূরা বুরুজ হতে সূরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সূরা সমূহ। মাগরিবের নামাজে কেসারে মুফাসসাল …
Read More »তাহাজ্জুদের নামাজ কত রাকাত এবং এর হুকুম কি
তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তা ছাড়েন নি। কখনো রাতে পড়তে না পারলে দিনে বার রাকাত ক্বাযা করে নিতেন। তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাতের কম এবং বার রাকাতের বেশী পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাজ তাহাজ্জুদের পরে পড়তেন। তাই এ নিয়মে পড়াই সুন্নত। তবে …
Read More »