কেরাতের সুন্নত তরীকা হলো,মুকীম ব্যক্তি নিরাপদ ও শান্ত অবস্থায় থাকলে ফজর ও জোহরের নামাজে তেওয়ালে মুফাসসাল পড়বে।
তেওয়ালে মুফাসসাল হচ্ছে সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত সূরা সমূহ। আসর ও এশার নামাজে আউসাতে মুফাসসাল পড়বে।
আউসাতে মুফাসসাল হল, সূরা বুরুজ হতে সূরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সূরা সমূহ।
মাগরিবের নামাজে কেসারে মুফাসসাল পড়বে। আর কেসারে মুফাসসাল হল, সূরা বায়্যিনাহ হতে শেষ অর্থাৎ সূরা নাস পর্যন্ত।
তবে এ নিয়মকে বাধ্যতামূলক করে নেয়া সুন্নত নয়।
কেননা, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু কখনো কখনো ফজরের নামাজে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তেন।
আর কখনো কখনো মাগরিবের নামাজে সূরা তূর, সূরা নাজম, সূরা মুরসালাত ইত্যাদি পড়তেন।
আর যদি মুক্তাদিগণ অবসর থাকে এবং লম্বা ক্বেরাতে আগ্রহী হয়, তাহলে ইমামের জন্য লম্বা কেরাত পড়া জায়েয আছে।
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযি:)
ফজরের এক রাকাতে সূরা বাকারা পড়েছেন। নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাগরিবের দু'রাকাতে সূরা আরাফ পড়েছেন।
হযরত উসমান (রাযি:) ফজরের নামাজে অধিকাংশ দিনই সূরা ইউসুফ পাঠ করতেন। তবে মুক্তাদিদের অবস্থার দিকে লক্ষ রাখা আবশ্যক।
একবার হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাযি.) এশার নামাজে সূরা বাকারা পাঠ করে ছিলেন।
একজন মুক্তাদি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অভিযোগ করেন।
তিনি বললেন : হে মুয়াজ! তুমি কি লোকদেরকে ফেতনায়, বিপদে ও গোনাহে নিক্ষেপ করতে চাও?
সাব্বি হিসমা ওয়াস শামছি এর ন্যায় সুরা পড়। মোটকথা, মুক্তাদিদের অবস্থার দিকে লক্ষ রাখা একান্ত জরুরী।
জুমার দিন ফজরের নামাজে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা আলিফ লাম মীম সিজদা ও সূরা দাহর পড়েছেন।
মুক্তাদিদের জন্য চুপচাপ ইমামের ক্বেরাতের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।