হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, মেরাজের রাত্রে ইব্রাহিম (আ:) এর সহিত আমার সাক্ষাত হয়।
তিনি বলিলেন, হে মোহাম্মদ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার উম্মতকে আমার তরফ হইতে সালাম বলিবেন।
আর তাঁহাদিগকে এই সংবাদ দিবেন যে, বেহেশতের মাটি বড় উর্বর, উহার পানিও সুমিষ্ট কিন্তু উহা একেবারে শুন্য ময়দান।
উহার চারা হইল সোবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ্ অলা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।
যার অন্তর যত চায় সে তত গাছ লাগাতে পারে। কোন বর্ণনায় লা-হাওলার উল্লেখ রহিয়াছে।
অন্য হাদিসে আছে, সোবহানাল্লাহিল আজীম অ বিহামদিহী পাঠ করিলে জান্নাতে একটি বৃক্ষ লাগিয়া যায়।
আরও বর্ণিত আছে,হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথাও যাইতেছিলেন, পথিমধ্যে দেখিলেন, হযরত আবু হোরায়রা (রাযি.) চারা গাছ লাগাইতেছেন।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইলেন, কি করিতেছ? তিনি আরজ করিলেন, হুজুর! গাছ লাগাইতেছি।
এরশাদ হইল,ইহার চেয়ে ভাল চারা লাগাইবার কথা তোমাকে বলিতেছি শুন! সোবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ, অলা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার প্রত্যেক কালামের পরিবর্তে জান্নাতে একটি গাছ লাগিয়া যায়।
ফায়দা
হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম্ এর উছিলায় এই উম্মতের নিকট হযরত ইব্রাহীম (আ:) সালাম পৌঁছাইয়াছেন।
উলামাগণ লিখিয়াছেন, এই হাদীস যাহার নিকট পৌছিবে সে অ-আলাইহিসসালামু অ-রাহমাতুল্লাহি অ- বারাকাতুহু বলিবে।
বেহেশতের মাটি ভাল এবং পানি মিষ্টি। যাহার মাটি ভাল এবং পানি এত উত্তম সেখানে বসতি স্থাপন কে না চায়?
অথবা সেখানে বৃক্ষ রাজী বেশী উৎপন্ন হইয়া থাকে। এখানে জান্নাতকে শুন্য ময়দান বলা হইয়াছে, অন্যসব হাদীসে উহাকে ফলে ফুলে পরিপূর্ণ বলা হইয়াছে।
উলামাগণ এই সমস্যার সমাধান এই ভাবে করিয়াছেন যে, মূল জান্নাত শূন্য ময়দানই বটে তবে নেক আমলের পরিণাম হিসাবে উহাতে বৃক্ষ সমূহ লাগিতে থাকিবে।
দ্বিতীয় সমাধান এই যে, বেহেশতের ছোট বাগানও এই দুনিয় হইতে অনেক বড়, কাজেই উহার কোন কোন অংশ ফল ফুলের উদ্যানে পরিপূর্ণ।
আর কিছু অংশ শূন্য ময়দান। মানুষের আমল অনুসারে সেখানে বৃক্ষ রাজী পয়দা হইতে থাকে।
হযরত গাঙ্গুহী (রহ.) কাওকাবে দুরি গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন, জান্নাতে যাবতীয় বৃক্ষ খামির আকারে একত্রে পুঞ্জীভূত রহিয়াছে, প্রত্যেক ব্যক্তির নেক আমল অনুসারে উহা তার অংশে লাগিতে থাকে ও বৃক্ষ গজাইতে থাকে।