যদি রমজানে কারো দুই বা ততোধিক রোজা ভেঙ্গে যায়, আর যদি প্রথম রোজা ভঙ্গের পরেই কাফফারা আদায় করে ফেলে।
তাহলে দ্বিতীয় কাফফারা পৃথকভাবে আদায় করতে হবে। অনুরূপভ তৃতীয়, চতুর্থ বা পরবর্তী রোজার একই হুকুম।
আর যদি রমজানের প্রথম দিকের ভেঙ্গে ফেলা রোজার কাফফারা শেষ রোজা পর্যন্ত আদায় না করে থাকে।
তাহলে ভেঙ্গে ফেলা একাধিক রোজার জন্য একটি কাফফারাই যথেষ্ট।
ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী রহ. এর মতে পৃথক পৃথক রোজার জন্য পৃথক পৃথক কাফফারা দেয়া ওয়াজিব।
আর যদি কেউ দু'রমজানে দুটি রোজা ত্যাগ করে থাকে এবং প্রথম রোজার কাফফারা আদায় না করে থাকে।
তাহলে পৃথক পৃথক কাফফারা ওয়াজিব হবে। এ ব্যাপারে সকল ইমাম একমত।
কোন কোন কারণে কাফফারা ওয়াজিব হয় না, শুধু ক্বাযা ওয়াজিব হয়?
যদি কোন ব্যক্তি ভুলে বা চাপে পড়ে। রোজা ভঙ্গ করে, চাই তা সহবাস করে হোক, ফিটকারী ব্যবহার করে হোক,
কানে কিংবা নাকে ঔষধ ব্যবহারের কারণে হোক, পেট অথবা মাথার যখমে ঔষধ লাগানোর কারণে পেট বা মস্তকের ভিতরে প্রবেশের কারণে হোক।
পাথর, লোহা বা এমন কোন জিনিস গিলে ফেললে যা ঔষধ বা খাদ্যদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত নয়,
কেউ ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে বা রাত্র বাকী আছে মনে করে সেহেরী খাওয়ার পর জানতে পারে যে তখন সকাল ছিল,
সূর্য অস্তমিত হয়েছে ভেবে ইফতার করার পর দেখা গেল সূর্য তখনো অস্তমিত হয়নি,
ভুলে খানা খাওয়ার পর রোজা ভঙ্গ হয়েছে চিন্তা করে পুনরায় ইচ্ছাকৃত ভাবে খেয়ে নিলে,
ঘুমন্ত অবস্থায় কণ্ঠনালীতে কেউ পানি ঢেলে দিলে,
কোন মহিলাকে কেউ ঘুমন্ত অবস্থায়, উন্মাদ বা অজ্ঞান অবস্থায় সহবাস করলে, উক্ত সকল ক্ষেত্রেই ক্বাযা ওয়াজিব হবে,
কাফফারা ওয়াজিব হবেনা।
অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি রমজান মাসে রোজা রাখা বা না রাখা কোনটিরই নিয়ত না করে থাকে এবং রোজা ভঙ্গকারী কোন কাজও তার দ্বারা সংঘটিত না হয়ে থাকে।
তাহলে ক্বাযা ওয়াজিব হবে ; কাফফারা ওয়াজিব হবেনা।
আর যদি রমজান মাসে রোজার নিয়ত না করে থাকে এবং খানা খেয়ে ফেলে তাহলে ইমাম আযম রহ. এর মতে কাফফারা ওয়াজিব হবেনা।
সাহেবাইনের মতে (কাফফারা) ওয়াজিব হবে।