রাসূল (সা:)-কথা, ও কাজ ও সমর্থনকে বলা হয়, অর্থাৎ রাসূল হিসেবে হুজুর যে কথা বলেছেন, যে সব কাজ করেছেন,
এবং সাহাবীদেরকে যে সব কাজ করতে দেখে সমর্থন দিয়েছেন তা হলো হাদীস।
হাদীসের পরিচয় দিতে গিয়ে বুখারী শরীফের ভূমিকায় বলা হয়েছে:
“হাদীস এমন এলমকে বলা হয় যার মাধ্যমে নবী কারীম (সা:) কথা, কাজ এবং তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।”
মেশকাত শরীফের ভূমিকায় মুহাদ্দিস শেখ আব্দুল হক দেহলভী হাদীসের নিম্নে বর্ণিত সংজ্ঞা দিয়েছেন:
মুহাদ্দিসীনের পরিভাষায় ইলমে হাদীস এমন এক ইলমকে বলা হয়, যা দ্বারা নবী কারীমের (সা:) – কথা ও অনুমোদনকে জানা যায়।
অনুমোদন বলা হয় এমন কথা ও কাজকে যা কোন সাহাবী কর্তৃক নভী কারীমের (সা:) – সামনে বলা কিংবা করা হয়েছে,
অথচ নবী (সা:) তার কোন প্রতিবাদ করেননি। কেননা উপরোক্ত কথা কিংবা কাজটি যদি শরীয়তের দৃষ্টিতে গর্হিত হতো,
তাহলে হুজুর (সা:) – প্রতিবাদ করতেন। সুতরাং হুজুরের এ ধরণের সমর্থনও শরীয়তের নির্দেশ জানার অন্যতম সূত্র।
হাদীসের সংজ্ঞা দান প্রসঙ্গে ইমাম সাখাভী বলেছেন:
অভিধানে হাদীস (নতুন) শব্দ হলো “কাদীম” (পুরাতন) শব্দ – এর বিপরীত অর্থবোধক।
আর মুহাদ্দিসীনদের পরিভাষায় হাদীস বলা হয় নবী কারীমের (সা:) – কথা, কাজ সমর্থন ও তার গুন বৈশিষ্ট্যকে এমনকি জাগরণ ও নিদ্রাবস্থায় হুজুরের গতিবিধিও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।