হাদীসের উৎস হয় অহী নতুবা হুজুরের ইজতেহাদ, হুজুরের প্রতি যে অহী নাজিল হতো তা ছিল দু'প্রকারের।
১) যা হুজুরকে তেলাওয়াত করে শুনান হতো এবং যার শব্দ ও বাক্য হুবহু বজায় রাখার জন্য হুজুর (সা:) আদিষ্ট ছিলেন।
এই শ্রেনীর অহীকে “অহীয়ে মাতলু” বলা হয়। নামাজে কেবলমাত্র এই শ্রেণীর অহীরই তেলাওয়াত চলে। আর তা-ই হলো কোরআন ।
২) দ্বিতীয় শ্রেণির অহীর শব্দ ও বাক্য হুবহু বজায় রাখার জন্য হুজুর (সা:) আদিষ্ট ছিলেন না।
বরং হুজুর নিজের ভাষায় তা বর্ণনা করেছেন এবং ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ শ্রেণীর অহীকে “অহীয়ে গায়ের মাতলু” বলা হয়। আর তা-ই হলো “হাদীস”
যেমন হুজুরকে (মেরাজের রাতে) আলমে মালাকুতের বিষয়াদি দেখান হয়েছে এবং হুজুর তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করেছেন।
কখনও কখনও জিবরাইল (আ:) হুজুরের নিকট উপস্থিত হয়ে দ্বীন-শরীয়তের ব্যাপারব আল্লাহর মর্জি ও ইচ্ছা বাতলিয়ে দিয়েছেন।
আর হুজুর তা সাহাবীদেরকে নিজের ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন।
হুজুর কর্তৃক কুরআনের আয়াত ও আমলসমূহের ব্যাখ্যা ও বর্ণনা দানও (যেমন নামাজের রাকায়াত ও যাকাতের পরিমাণ যা কুরআনে উল্লেখ করা হয়নি হাদীসের পর্যায়ভুক্ত। আর এ সবটার উৎসই অহী।
কেননা কোরআন ছাড়াও অন্য প্রকারের অহী হুজুরের প্রতি নাজিল হতো। যেমন হুজুর (সা:) বলেছেন:
আমাকে যেমন কোরআন দেয়া হয়েছে তেমনি কোরআনের অনুরূপ আরও একটি বস্ত দেয়া হতেছে।
হুজুরের ইজতেহাদও হাদীসের পর্যায়ভুক্ত এবং তাও ইসলামী শরীয়তের উৎস।
কেননা হুজুরের ইজতেহাদ যদি আল্লাহর মর্জি মোতাবেক না হতো তাহলে আল্লাহ অহীর মাধ্যমে তা সংশোধন করে দিতেন।