(মুসলিমবিডি24ডটকম)
ডিসেন্সিটাইজেশন তথা অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়া
এক ভাই লিখেছেন,
”আজ থেকে ২০ বছর আগে যেই ধরনের পোশাক শুধুমাত্র যৌন-কর্মীদেরকে রাতের বেলায় পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত যেমন
বাংলাদেশে ওড়না ছাড়া কামিজ; বিদেশে: শুধুই টাইট্স
যেন তারা খদ্দের ধরতে পারে, আজকে সেই একই পোশাক পরে ভদ্রঘরের মেয়েরা দিনে-রাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজকাল মেয়েদের পোশাক দেখে বোঝা মুশকিল সে কোনো যৌন কর্মী, নাকি কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ে — সবারই পোশাক এক রকম।”
আসলে মিডিয়া এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিপ্রীতি খুব ধীরে ধীরে আমাদেরকে প্রতিক্রিয়াহীন, অনুভূতিহীন, ভোঁতা করে দিয়েছে। আজকাল মেয়েদেরকে এই সব পোশাক পরতে দেখলে আমরা, “আস্তাগফিরুল্লাহ! ছি! ছি! এইটা কী পরে আছে?”, বলে আঁতকে উঠি না।
সাইকোলজির ভাষায় এটাকে ‘ডিসেন্সিটাইজেশন' বলে। অর্থাৎ, অন্তর ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়াহীন ও অনুভূতিহীন হয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া।
ইসলামে কন্যা হিসেবে নারীর মর্যাদা
যার ফলাফল: মেয়েদের পোশাক আস্তে আস্তে আরও টাইট, আরও ছোট হতেই থাকে। এভাবে আমাদের অন্তর কঠিন হতে হতে, একসময় পাথর হয়ে যায়, লজ্জা-হায়া সব লোপ পায়। ব্যভিচার, ধর্ষণসহ যাবতীয় বিকৃত যৌনাচার অবাধে চলা শুরু হয়।
ষড়যন্ত্রের আবর্তে নারী সমাজ ও তাদের পর্দানীতি
আল্লাহ তাআলা বলেন, “এত কিছুর পরেও তোমাদের অন্তর পাথরের মতো কঠিন হয়ে গেছে — না তারচেয়েও কঠিন।” (সূরা বাকারা ৭৪)
খাটো পোশাক পরা ব্যাক্তি স্বাধীনতা নয়
ধর্ষণ রোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেই পদক্ষেপগুলো নেয়া হলে সফলতা আসতো