(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ছাত্রের চেহারা, কান, মাথা ও স্পর্শকাতর কোন অঙ্গে বেত দিয়ে আঘাত করবেন না।
হাফেজ ক্বারী আব্দুল হক সাহেব দাঃ বাঃ এর হিফজ বিভাগের শিক্ষকদের জন্য ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।
১. ছাত্রদের সকল পড়া (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার রুটিন অনুযায়ী) শিক্ষকই শুনবেন।কোন ছাত্র দিয়ে ছাত্রের পড়া শোনাবেন না।
২. সবক্ব ও সবক্বের পারা বাধ্যতামূলক একজন একজন করে শুনবেন। সাতসবক্ব ও আমূখতা প্রয়োজনে একাধিকজনের একত্রে শুনতে পারেন।
৩. সবকের পারা শোনানোর জন্য নতুন সবক্ব বন্ধ রাখবেন না। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ১দিন বন্ধ রাখতে পারেন।
৪. ছাত্রের চেহারা(মুখ) , কান, মাথা ও স্পর্শকাতর কোন অঙ্গে বেত দিয়ে আঘাত করবেন না।
৫. রাগতাবস্থায় শাস্তি দেবেন না। ছাত্রকে শাস্তির উপযুক্ত হতে দেবেন না। বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
৬. ছাত্রের সাথে উত্তম ভাষায় সুন্দর করে কথা বলবেন। গালিগালাজ পর্যায়ের কোন শব্দ বা,বাক্য ব্যবহার করবেন না।
৭. ছাত্র দ্বারা কোন ধরনের শারীরিক খেদমত নিবেন না। যেমন: মাথা টিপানো, হাত-পা টিপানো শরীর মালিশ ইত্যাদি।
৮. বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
৯. কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শিক্ষকের মোবাইল থেকে কোন ছাত্রকে মোবাইলে ফোন করার সুযোগ দিবেন না।
১০. ছাত্রের অভিভাবকের সাথে আচার আচরণ ও সুন্দর ব্যবহার ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে হুশিয়ার থাকবেন। ব্যক্তিগত লেনদেন থেকে বিরত থাকবেন।
১১. সুন্নতের পাবন্দি করবেন। ক্লাসের উপযুক্ত পোষাক(কাপড়) পরিধান করবেন। ছাত্রদের তরবিয়তের প্রতি বিশেষ নজরদারী করবেন।
স্টাইল সাজগোজ ডিজিটাল পোশাক (অর্থাৎ তালিতুলি মারা পোষাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকবেন।
১২. ঘুম, গোসল, খানা, সালাতের সময় ও আছরের নামাজের পরের সময়ে ছাত্রদেরকে শিক্ষকের নেগরানির আওতায় রাখবেন।
১৩. প্রাতিষ্ঠানিক আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও যত্নবান থাকবেন।
১৪. সব ধরনের লেনদেন ও আদানপ্রদান পরিচ্ছন্ন রাখবেন। আল্লাহ পাক সকল হিফজ বিভাগের শিক্ষকগনকে কবুল করুন, আমীন।
যদি খেদমত একমাত্র আল্লাহর সসন্তুষ্টির জন্য হয়,তাহলে দেখবেন দিন দিন আপনাদের হিফজ বিভাগের পড়ার মানের উন্নতি হচ্ছে।
জনস্বার্থে সর্বোচ্চ সর্বত্র শেয়ার চাই?