(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বর্তমানে নিজের মন মতো চলার প্রতিযোগীতা চলছে। যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চলছে। এতে ধর্মিয় বা সামাজিক কোনো বাধা নিষেধ আছে কি
না তার কোনো তোয়াক্কাই করছে না। এরকম ইচ্ছা মতো চলার একটি হলো মেয়েদের চুল কেটে বিভিন্ন স্টাইলে রাখা! তাহলে চলুন এখন আমরা তার
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আদদূররুল মুখতার কিতাবে রয়েছে :- কোনো মহিলা তার মাথার চুল কাটলে সে গুনাহগার ও অভিশপ্ত হবে।
ফতোয়ায়ে বাযযাযিয়া কিতাবে রয়েছে, যার মর্মার্থ হল, স্ত্রী যদি তার স্বামীর অনুমতি বা আদেশক্রমেও মাথার চুল কাটে তবুও সে গুনাহগার অভিশপ্ত হবে।
কেননা, স্রষ্টার নাফরমানি করে কোনো মানুষের আদেশ পালন করা যায় না। এ কারণেই স্বামীর পক্ষেও তার দাড়ি কাটা হারাম।
স্ত্রীলোকের মাথার চুল কাটার মধ্যে দুটি গুনাহ রয়েছে। প্রথমটি হলো:- নারীর জন্য পুরুষের বেশ ধারণ করা, যা হারাম। হাদিস শরীফে এ বেশ ধারণের
জন্য অভিশাপ দেয়া হয়েছে। হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে, যে রমণী লেবাস বা পোশাকের দ্বারা বা চুল দাড়ি দ্বারা পুরুষের আকৃতি ধারণ করবে তার উপর
আল্লাহর লানত পরবে এবং যে পুরুষ লেবাস বা পোশাকের দ্বারা বা চুল দ্বারা নারীর আকৃতি ধারণ করবে তাদের ওপর আল্লাহর লানত পরবে।
আর দ্বিতীয় গুনাহ হচ্ছে:- বিজাতীয় সাদৃশ্য গ্রহণ করা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কোন মুসলমানের পক্ষেই বিজাতীয় অনুকরণ হারাম। কেউ যদি সাদৃশ্য
তার রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা না করে কেবল নিজের আরামের ও নফসের খাহেশের জন্য করে থাকে তাহলে দেখতে হবে যে তার এরূপ ইচ্ছা কেন হচ্ছে?
অপরের দেখাদেখি তো হচ্ছে! সুতরাং গোপন অনুকরণের ইচ্ছা অবশ্যই আছে। আর এরুপ গোপন অনুকরণও হারাম। বেহেশতি জেওর ৬/২৯১