(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
নারী সমাজ আজ কেন অধঃপতনের দিকে এগুচ্ছে?কেন তারা আজ বাজারের পন্য হয়েছে? কেন তারা আজ খেলনার বস্তুতে পরিনত হয়েছে?
কেন তাদের আজ সম্মান নেই? ভাবতে পারি না কেন তারা আজ ধর্ষিতা হচ্ছে?কেন তারা খুন হচ্ছে? এ সকল প্রশ্ন আমাদের সকলের।
এ সবের মূল কারণ হল,স্কুল কলেজ ও সরকারি মাদ্রাসায় বেপর্দায় যে ছবক তারা পাচ্ছে,
সেই ছবক তাদেরকে ধীরে ধীরে অন্ধকারের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে।
এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী (ছেলে মেয়েরা) একই সাথে একই ক্লাসে লে পড়া করে।
তাদের মধ্যে নেই কোন শরিয়তের বিধান, রাস্তায় চলে পর্দাহিন ভাবে, তাদের এ চলাচল দেখে একশ্রেনীর নারীলোভীরা তাদেরকে শিকার করার ধান্ধা করে।
এই সূত্র থেকে শুরু হয় এসিড নিক্ষেপ,ধর্ষন,খুন,অপহরন
এসবের কারণ কি? এর কারণ হলো,এ সমস্ত মেয়েরা ইসলামী অনুশাসন তথা পর্দার বিধান মেনে চলছে না।
বরং ইসলামি জীবন ব্যবস্থা ত্যাগ করে, পাশ্চাত্যের নোংরা মেয়েদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
দিন দিন টিভি ও স্যটেলাইটের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের কৃষ্টি কালচারের প্রতি প্রভাবিত হচ্ছে। ইসলামি কৃষ্টি কালচারের কথা ভুলে যাচ্ছে।
যার কারনে এরকম গঠনা প্রতিনিয়ত গঠে যাচ্ছে।অথচ যদি পর্দা করতো, তাহলে এরকম ঘটনা আদৌ ঘটতো না।
ইতিহাস পড়লে দেখা যায়, আজ থেকে পনেরো শত বছর পূর্বে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যামানায়,এসিড মারা তো দূরের কথা,
সে সময় পুরুষরা মহিলার দিকে তাকিয়েও দেখেনি।তার কারণ,সে সময় মা-বোনেরা আল্লাহর আইন তথা পর্দার বিধান মেনে চলতো।
আর বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে,পোষাক যত শর্ট এবং পাতলা হবে,তাতেই আপামণিদের ফ্যাশন সুন্দর হয়।
এরকম পোশাক পরে রাস্তা-ঘাটে বের হলে ধর্ষিতা হওয়া বা এসিড নিক্ষেপে ছারখার হওয়া স্বাভাবিক। (আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন)
আরো পড়ুন👉নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি ও যুগে যুগে নারী শিক্ষার স্বরূপ বিশ্লেষণ,নারীদের পোষাক কেমন হবেঃ ফতোয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, ইসলাম নারীদের কেমন চোখে দেখে ?,