(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ইসলামের প্রাথমিক যুগে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করাকে অপমান জনক মনে করা হতো।
এমনকি লজ্জায় তাদের তাদের মুখ বিবর্ন হয়ে যেতো।আল্লাহ ইরশাদ করেন “যখন তাদের কন্যা সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সংবাদ দেওয়া হত,
তখন রাগে তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেতো”-(সুরা নাহল)ইসলাম এহেন জঘন্যতম কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য হুশিয়ার করেছে।
ইরশাদ হয়েছে”খবরদার তোমরা দরিদ্রের ভয়ে সন্তান হত্যা কর না,আমি তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে থাকি,নিশ্চয়ই সন্তান হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ” (ইসরাইল)
ইসলাম এভাবে পুত্র ও কন্যা সন্তানের মধ্যে সমতা বিধান করে,অন্ধকার যুগের গহ্বর থেকে নারীকে টেনে তুলে এনেছে।
তখনকার ঘৃণার পাত্র কন্যা সন্তানকে লালন পালন করার ফজিলত ঘোষনা করেছে।ইরশাদ হয়েছে:
যে ব্যক্তি ৩জন কন্যা সন্তান বা আপন বোনকে দ্বীন শিক্ষাদান ও লালন পালন করেছে,
এবঁ সাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত দেখাশোনা করেছে,আল্লাহ তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব করে দিবেন।
অনস্থানে রাসুল সাঃ বলেছেন যদি কোন ব্যক্তি তার ২জন কন্যা সন্তানকে সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন পালন করে,
তবে কিয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ সা:ও ঐ ব্যক্তি এভাবে উঠবো যেভাবে আঙ্গুল দুটি একত্র আছে।
এরকম আরো ফজিলত রাসুল সাঃ বর্ণনা করেছেন।যার দ্বারা রাসুল সাঃ নারীদের নারীত্বের যথাযথ মর্যাদায় সমাসীন করেছেন।
এবং কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলার একটা বদ্ধমূল ধারনা নির্মূল করেছেন।