(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আল্লামা শামসুদ্দীন যাহাবি রহ. রচিত “আত-তিব্বুন নববী” কিতাবে বর্ণিত আছে; মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বপ্রকার শিল্পকর্ম
ওহির মাধ্যমে কোনো না কোনো নবীর পবিত্র হাতে শুরু হয়েছে। অতঃপর প্রয়োজন অনুসারে যুগে যুগে তার মধ্যে উন্নতি-অগ্রগতি ও
উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। সর্বপ্রথম হযরত আদম আ. এর প্রতি যে সব ওহি নাজিল করা হয়েছিল, তার অধিকাংশ ছিল ভূমি আবাদ
করা, কৃষিকার্য ও শিল্প সংক্রান্ত। পরিবহণের জন্য চাকা চালিত গাড়ি সর্বপ্রথম হযরত আদম আ.-ই আবিষ্কার করেন। কলকাতা
আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা আহমদ সাহেব বলেন: কালের বির্বতনে বিভিন্ন প্রকার গাড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে; কিন্ত সব গাড়ির
ভিত্তি চাকার উপর। গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু করে মোটর ও রেলগাড়ি সর্বত্রই চাকার কারবার। কাজেই যিনি সর্বপ্রথম
চাকা আবিষ্কার করেছেন তিনি সবচেয়ে বড় আবিষ্কারক।
একই ভাবে আল্লাহ তাআলা হযরত ইদরিস আ. এর মাধ্যমে আমাদেরকে কলমের শিক্ষা দিয়েছেন। সূরা হূদের মধ্যে আল্লাহ তাআলা
হযরত নূহ আ. কে নৌকা তৈরি শিক্ষা দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: তুমি নৌকা তৈরি করো আমার তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশ অনুসারে। (সূরা হুদ ৩৭)
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, হযরত জিবরাইল আ. ওহির মাধ্যমে নৌকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি ও নির্মাণ কৌশল
হযরত নূহ আ. কে শিক্ষা দিয়ে ছিলেন। তিনি শাল কাঠ দ্বারা উক্ত নৌকা তৈরি করেছিলেন।
দা, ছুুরি, চাকু, রামদা, যুদ্ধে ব্যবহৃত লোহার পোশাক যার আধুনিক রুপ হলো বুলেটফ্রুপ জ্যাকেট; এ সবকিছুর সূচনা হয়েছে
হযরত দাউদ আ. এর হাতে। আল্লাহ তাআলা হযরত দাউদ আ. কে এমন মুযিজা দান করেছিলেন যে, তিনি লোহায় হাত দিলে তা গলে যেত।
তখন তিনি যা ইচ্ছা তা দিয়ে তাই তৈরি করতে পারতেন।
এখন যদি আমরা আধুনিক যুগের প্রতিটি আবিষ্কারের গুড়ার ইতিহাস তালাশ করি তাহলে দেখবো যে তা কোনো না কোনো নবির হাতে ওহির মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আধুনিক বিজ্ঞানের মূলে পবিত্র কুরআন
ঈসা আঃ এর ঘরের সন্ধান পাওয়া গেছে
হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযালী(র.)ঃহাতিম আল-ফেরদৌসী
ইবনে সিনা (Ibna Sina) হাতিম আল-ফেরদৌসী
নিষিদ্ধ নামসমুহ