Breaking News
Home / জীবনী / ইবনে সিনা (Ibna Sina) হাতিম আল-ফেরদৌসী

ইবনে সিনা (Ibna Sina) হাতিম আল-ফেরদৌসী

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

ইবনে সিনা (Ibna Sina)ঃ হাতিম আল-ফেরদৌসী

بسم الله الرحمن الرحيم

এ এক অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। জ্ঞান ও গুণে নিজেকে ঋদ্ধ করতে গিয়ে সকল বাঁধাকে যাঁরা তুচ্ছ করে এগিয়ে গেছেন সফলতার দিকে,

তুর্কীস্তানে জন্ম নেওয়া তাদের অন্যতম। ে একের পর এক বিপদের পাহাড় নেমে আসার পরও তিনি কখনো সরে যাননি আপন সাধনা হতে।

তাইতো তিনি আজো আদের মাঝে ওমর হয়ে আছেন। আর আমরা হয়ে আছি তাঁর কাছে চির ঋণী।

তাঁর পুরো নাম, আবু আলী আল-হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা। তিনি সাধারণত ইবনে সিনা, বু-আলী সিনা এবং আবু আলী সিনা নামেই অধিক পরিচিত।

ইবনে সিনা ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তুর্কিস্তানের বিখ্যাত শহর বোখারার নিকটবর্তী আফসানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতার নাম, আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম সিতারা বিবি।
পিতা আব্দুল্লাহ ছিলেন খোরাসানের শাসনকর্তা।

জন্মের কিছুকাল পরই তিনি ইবনে সিনাকে বোখারায় নিয়ে আসেন এবং তাঁর লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করেন। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে লুকিয়ে ছিল অসামান্য মেধা ও প্রতিভা।

মাত্র 10 বছর বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের 30 পারা মুখস্ত করে ফেলেন। তাঁর তিনজন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইসমাইল সূফী তাঁকে শিক্ষা দিতেন ধর্মতত্ত্ব, ফিকাহ শাস্ত্র

ও তাফসীর; মাহমুদ মসসাহ শিক্ষা দিতেন গণিতশাস্ত্র এবং বিখ্যাত দার্শনিক আল-না'তেলি শিক্ষা দিতেন দর্শন,

জ্যামিতি, টলেমির আল-মাজেস্ট, জওয়াহেরে মান্তেক প্রভৃতি।
মাত্র 17 বছর বয়সে সকল জ্ঞান তিনি লাভ করে ফেলেন।

বিখ্যাত দার্শনিক আল-না'তেলীর  কাছে এমন কোন জ্ঞান আর অবশিষ্ট ছিল না, যা তিনি ইবনে সিনাকে শিক্ষা দিতে পারবেন।

এরপর তিনি ইবনেসিনাকে নিজের স্বাধীন মত ঘোষণা দেন। এবার তিনি চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কিত কিতাব সংগ্রহ করে গবেষণা করতে শুরু করেন।

ইবনে সিনা তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন যে, এমন বহু দিবারাত্রি অতিবাহিত হয়েছে যার মধ্যে তিনি ক্ষণিকের জন্যেও ঘুমাননি।

কেবলমাত্র জ্ঞান সাধনার মধ্যেই ছিলো তাঁর মনোনিবেশ। যদি কখনো কোনো বিষয়ে তিনি বুঝতে না পারতেন কিংবা জটিল কোন বিষয়ের সমস্যার সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি

মসজিদে গিয়ে নফল নামাজ আদায় করতেন এবং সেজদায় পড়ে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে বলতেন, ” হে আল্লাহ, তুমি আমার জ্ঞানের দরজা খুলে দাও।

জ্ঞান লাভ ছাড়া পৃথিবীতে আমার আর কোন কামনা নেই।” তারপর গৃহে সে আবার গবেষণা শুরু করতেন। ক্লান্তিতে যখন ঘুমিয়ে পড়তেন তখন অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো

ের ন্যায় তাঁর মনের মধ্যে ভাসতো এবং তাঁর জ্ঞানের দরজা যেন খুলে যেত। হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেই সমস্যা গুলোর সমাধান পেয়ে যেতেন।

মাত্র 18 বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করে বাদশাহকে সুস্থ করে তুলেন। বাদশাহ কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁর জন্য রাজদরবারের কুতুবখানা উন্মুক্ত করে দেন।

মাত্র অল্প কয়েক দিনে তিনি অসীম ধৈর্য ও একাগ্রতার সাথে কুতুবখানার সব কিতাব মুখস্ত করে ফেলেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এমন কোন বিষয় বাকি ছিল না যা তিনি জানেন না।

মাত্র 19 বছর বয়সে তিনি বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, রাজনীতি, গণিতশাস্ত্র, জ্যামিতি, ন্যায়শাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র, কাব্য, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে অসীম জ্ঞানের অধিকারী হন।

21 বছর বয়সে ‘আল-মজমুআ' নামক একটি বিশ্বকোষ রচনা করেন, যার মধ্যে গণিতশাস্ত্র ব্যতীত প্রায় সকল বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

১০০১ খ্রিস্টাব্দে পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল 22 বছর। নেমে আসে তাঁর উপর রাজনৈতিক দুর্যোগ।

তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হন এবং পিতার পদে অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু রাজ্য গজনীর সুলতান মাহমুদের হাতে পতন ঘটল ১০০৪ খ্রিঃ ইবনে সিনা খাওয়ারিজমি

রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। এসময়ে খাওয়ারিজমের বাদশাহ ছিলেন মামুন বিন মাহমুদ।

১০০৪-১০১০ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি খাওয়ারিজমে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও তাঁর এ সুখ-শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

ইবনে সিনার সুখ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে গজনীর সুলতান মাহমুদ তাঁকে পেতে চাইলেন। মাহমুদ জ্ঞানী ব্যক্তিদের খুব ভালোবাসতেন।

তাদেরকে দেশ-বিদেশ থেকে ডেকে এনে তাঁর শাহী দরবারের গৌরব বৃদ্ধি করতেন এবং তাদেরকে মনিমুক্তা উপহার দিতেন।

এতদুদ্দেশ্যে সুলতান মাহমুদ তাঁর প্রধান শিল্পী আবু নছর এর মাধ্যমে ইবনে সিনার ৪০ খানা প্রতিকৃতি করে সমগ্র পারস্য ও এশিয়া মাইনরের রাজন্যবর্গের কাছে ছবিসহ

পত্র পাঠিয়ে দিলেন যেন ইবনে সিনাকে খুঁজে বের করে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া তিনি খাওয়ারিজমের বাদশা মামুন বিন মাহমুদকে পরোক্ষভাবে এ নির্দেশ দিয়ে একটি

পত্র পাঠালেন যে, তিনি যেন তাঁর দরবারের জ্ঞানী ব্যক্তিদের সুলতান মাহমুদের দরবারে পাঠিয়ে দেন।

আসলে অন্যান্য জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে ইবনে সিনাকে পাওয়াই ছিল তাঁর আসল উদ্দেশ্য।

ইবনে সিনা ছিলেন স্বাধীনচেতা ও আত্মমর্যাদা সচেতন ব্যক্তি। ধন-সম্পদের প্রতি তাঁর কোন লোভ-লালসার ছিল না; কেবলমাত্র জ্ঞানচর্চার প্রতিই ছিল তাঁর আসক্তি।

তিনি নিজের স্বাধীনতা ও ইজ্জতকে অন্যের কাছে বিকিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। অন্যায় ভাবে কারো কাছে মাথা নত করতে তিনি জানতেন না।

এছাড়া, বিনা যুক্তিতে কারো মতামতকে মেনে নিতেও রাজি ছিলেন না। এমনকি ধর্মের ব্যাপারেও তিনি যুক্তির সাহায্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন।

তাই তৎকালীন সময়ে অনেকে তাঁকে ধর্মীয় উগ্রপন্থী এবং পরবর্তীতে কয়েকজন বিখ্যাত পন্ডিত তাঁকে কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।

যারা তাকে কাফের ফতোয়া দিয়েছিলেন তারা তাঁকে ভুল বুঝেছিলেন।

আসলে ইবনে সিনা ছিলেন একজন খাঁটি মুসলমান। যারা তাকে কাফের বলেছিলেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি একটি কবিতা রচনা করেন।

এতে তিনি লিখেছেন, ” যারা আমাকে কাফের বলে আখ্যায়িত করে তারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হোক আমার কোন আপত্তি নেই।

তবে আমার মত যোগ্য ব্যক্তি তোমরা আর পাবে না। আমি একথা বলতে চাই যে, আমি যদি কাফের হয়ে থাকি তাহলে পৃথিবীতে মুসলমান বলতে কেউ নেই।

পৃথিবীতে যদি একজন মুসলমানও থাকে তাহলে আমি হলাম সেই ব্যক্তি।”

গজনীর সুলতান মাহমুদ প্রবল প্রতাপশালী নেতা। তাঁর প্রতাপে অন্যান্য রাজা-বাদশাহগণ পর্যন্ত ভয়ে কম্পমান থাকতেন ।

থাই গজনিতে গেলে ইবনে সিনার স্বাধীনতা ইজ্জত অক্ষুণ্ন থাকবে কিনা সে সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে তিনি গজনীতে সুলতান মাহমুদের দরবারে যেতে রাজি হননি।

কিন্তু খাওয়ারিজমে তিনি এখন নিরাপদ নয় ভেবে ১০১৫ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মামুন বিন মাহমুদের সহায়তায় সেখান থেকে পলায়ন করে এক অনিশ্চিত পথে রওয়ানা দেন।

প্রথমে আবিওয়াদি, তারপর তুস, নিশাপুর ও পরে গুরগাঁও গিয়ে পৌঁছান। এখানে এসে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কিতাব রচনায় নিজেকে মনোনিবেশ করেন।

কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এখানে তাঁর সুখ-শান্তি স্থায়ী হয়নি। তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্যে ঘুরে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রাম এবং শহর থেকে শহরে।

কিন্তু তিনি গজনীতে যেতে রাজি হলেন না।
অবশেষে তিনি মান রাও প্রদেশ। বিভিন্ন কিতাব লিখতে শুরু করেন। কিন্তু এখানেও তার সুখ স্থায়ী হলো না।

তাঁর জ্ঞান সাধনা ও কিতাব রচনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। তারপর তিনি চলে যান প্রথমে কাজভিন ও পরে হামা শহরে।

এখানে এসেই তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আশ শেফা' ও ‘আল কানুন' লেখায় হাত দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন।

এ সময় হামাদানের বাদশাহ শামসউদ্দৌলা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে ৪০ দিন চিকিৎসা করে তাকে মুমূর্ষ অবস্থা থেকে সুস্থ করে তোলেন।

ক্রমান্বয়ে ইবনেসিনা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং বাদশা শামসুদ্দৌলার মন্ত্রীত্বের আসন অলংকৃত করেন।

এখানেও তিনি তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধি ও কর্ম দক্ষতার কারণে রাজদরবারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের ঈর্ষার  গভীর ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হন।

একপর্যায়ে সমালোচকরা সেনাবাহিনীকে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তুলে এবং ইবনে সিনার দণ্ডের দাবি করে। বাদশাহ বুঝতে পেরেছিলেন যে, এটা একটি গভীর ষড়যন্ত্র।

কিন্তু সেনাবাহিনীর দাবিকে অগ্রাহ্য করা কিংবা ইবনে সিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া কোনোটিই শামসুদ্দৌলার পক্ষে সম্ভব ছিল না।

ইবনে সিনা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আত্মগোপন করেন এবং দীর্ঘ ৪০/৫০ দিন অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করেন।

পরবর্তীতে বাদশাহ পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং সৈনিকগণ তাদের ভুল বুঝতে পেরে ইবনে সিনাকে খুঁজে বের করেন এবং মন্ত্রিত্বের পদ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

শামসুদ্দৌলার মৃত্যুর পর সময়ও ার প্রবাহে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে চলে যান ইস্পাহানে।

এ সময়ে ইস্পাহানের শাসনকর্তা ছিলেন, আলা-উদ-দৌলা। তিনি ইবনে সিনাকে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং তাঁর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করে দেন।

এখানে তিনি উদ্যত গতিতে জ্ঞান চর্চা শুরু করেন এবং বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আশশেফা' ও ‘আল কানুন'এর অসমাপ্ত লেখা শেষ করেন।

এই মনীষী পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জ্যামিতি, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় শতাধিক কিতাব রচনা করেছেন।

এগুলোর মধ্যে আল কানুন, আশ শেফা, আরযুযা ফিত তিব্ব, লিসানুল আরব, আল মজনু, আল মুবাদাউন মায়াদা, আল মুখতাসারুল আওসাত,

আল আরসাদুল কলিয়া উল্লেখযোগ্য। আর কানুন কিতাবটি তৎকালীন যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বিপ্লব এনে দিয়েছিল।

কারণ, এত বিশাল গ্রন্থ সে যুগে অন্য কেউ রচনা করতে পারেননি। আল-কানুন কিতাবটি ল্যাটিন, ইংরেজি, হিব্রু প্রভৃতি ভাষায় অনূদিত হয় এবং তৎকালীন ইউরোপের

চিকিৎসা বিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আল-কানুন ৫ টি বিশাল খন্ডে। বিভক্ত যার পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪ লক্ষাধিক।

কিতাবটিতে শতাধিক জটিল রোগের কারণ, লক্ষণ ও পথ্যাদির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের তিনিই হলেন জনক।

‘আশ শেফা' দর্শন শাস্ত্রের আরো একটি অমূল্য গ্রন্থ, তা ২০ খন্ডে বিভক্ত ছিল। এতে ইবনেসিনা রাজনীতি, অর্থনীতি, তত্ত্ব ও উদ্ভিদ তত্ত্বসহ যাবতীয় বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত

করেছিলেন। চিনি মানুষের কল্যাণ ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনে আজীবন পরিশ্রম করেছেন এবং ভ্রমণ করেছেন জ্ঞানের সন্ধানে।

তিনিই সর্বপ্রথম ‘মেনেনজাইটিস' রোগটি সনাক্ত করেন। পানি ও ভূমির মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় তা তিনি আবিষ্কার করেছিলেন।

সময় ও গতির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কের কথা তিনিই আবিষ্কার করেন।
তিনি এরিস্টটলের দর্শনও ভালোভাবে অধ্যয়ন করেন।

কিন্তু এরিষ্টটলের কিছু কিছু মতবাদের সাথে একমত হলেও সকল মতবাদের সাথে তিনি একমত হতে পারেননি। জীবন সায়াহ্নে ফিরে আসেন তিনি হামাদানে।

অতিরিক্ত পরিশ্রমের দরুন তিনি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন। একদিন তাঁর এক ভৃত্য ঔষধের সাথে আফিম মিশিয়ে দেয়।

আফিমের বিষক্রিয়ায় তাঁর জীবনী শক্তি শেষ হয়ে আসে।১০৩৭ খ্রিস্টাব্দে মহাজ্ঞানী ও বিশ্ব

বিখ্যাত মনীষী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হামাদানে তাঁর সমাধি আছে।

সংকলনঃ
হাতিম আল-ফেরদৌসী

About Muhammad abdal

আমি মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আবদাল।দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেছি ২০২১ ইংরেজি সনে । লেখালেখি পছন্দ করি।তাই সময় পেলেই লেখতে বসি। নিজে যা জানি তা অন্যকে জানাতে পছন্দ করি,তাই মুসলিমবিডি ওয়েব সাইটে লেখা প্রকাশ করি। ফেসবুকে ফলো করুন👉 MD ABDALツ

Check Also

রাসুল(সা.)-এর ঘোড়া ঘোড়াসমূ ঘোড়াসমূহের নাম

রাসুল (সা.)-এর ঘোড়াসমূহের নাম

(মুসলিম বিডি ২৪.কম)  بسم الله الرحمن الرحيم রাসুল (সা.)-এর নিকট বেশ কয়েকটি ঘোড়া ছিলো। এগুলোর …

Powered by

Hosted By ShareWebHost