নামজ ৪ প্রকার। যথা:-ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব।
অধিকাংশ ইমামের মতে পাচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়া অন্য কোন নামাজ ওয়াজিব নয়।
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর মতে বিতর, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহার নামাজও ওয়াজিব এ অভিমতের উপরই ফতোয়া।
অন্যান্য ইমামগণের মতে এসব নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
বিতর নামাজ কত রাকাত ও তা কয় সালামে পড়তে হয়?
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর মতে, বিতর নামাজ তিন রাকাত।
তিন রাকাত বিতর নামাজ একই সালামে আদায় করা।
তিন রাকাতেই সূরা ফাতেহার সাথে অন্য কোন সূরা পড়া এবং তৃতীয় রাকাতে ক্বেরাতের পর রুকুর পূর্বে দু'আয়ে কুনূত পাঠ করা,ওয়াজিব।
ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এর মতে দু'আয়ে কুনূত কেবল রমজানের শেষ ১৫ দিন সুন্নত (বছরের অন্যান্য সময়ে পড়া সুন্নত নয়।)
অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দু'আয়ে কুনূত পড়া সুন্নত।
ফজরের নামাযে দু'আয়ে কুনূত পড়ার হুকুম কি?
ফজরের নামাজে দু'আয়ে কুনূত পড়া বেদাত।
কিন্তু ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এর মতে ফজরের নামাজে দু'আয়ে কুনূত পড়া সুন্নত।
বিতরের নামাজে কোন কোন সূরা পাঠ করা মুস্তাহাব?
বিতর নামাজের প্রথম রাকাতে ‘সাব্বিহিসমা' দ্বিতীয় রাকাতে ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফিরুন ও তৃতীয় রাকাতে ক্বুলহুওয়াল্লাহু আহাদ' পাঠ করা মুস্তাহাব।