মুসলিমবিডি২৪ডট কম
তাবলীগ প্রথম ইজতেমা ১৯৪১ সনে দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদের
ছোট্ট এলাকায় মেওয়াতের মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ অংশ নেন।
১৯৪৭ সালের পর হতে তাবলীগ জামাতের ঘাঁটি হয়ে দাঁড়ায় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
হযরত মাওলানা আব্দুল রহিমাহুল্লাহ ১৯৫০ সালে বাংলাদেশের প্রধান মারকাজ,
রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত একটি মসজিদে,
স্বল্প সংখ্যক মুসল্লি নিয়ে তাবলীগের দাওয়াতি কাজ শুরু করেন।
মসজিদটির আদি নাম ছিল মালওয়ালি মসজিদ।
পরবর্তীতে ১৯৬০ এর দশকে তাবলীগ জামাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,
ইঞ্জিনিয়ার মরহুম আব্দুল মুকিত সাহেবের তত্ত্বাবধানে তিন তলা মসজিদটি পুনারায় নির্মাণ করেন।
এবং ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগারগ্রামের খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়ায়,
বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিত লাভ করে
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর উত্তর পূর্ব তীরে ডোবা-নালা,
উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমে দখলকৃত ১৬০ একর জায়গায় বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
শোনা যায় তাবলীগ জামাতের মুরব্বিদের বৈঠকে,
বিশ্ব ইজতেমার স্থান নির্ধারণের জন্য নাকি লটারি হয়েছিল।
এবং সেই লটারিতে বাংলাদেশের নাম উঠেছিল
প্রিয় ভাইয়েরা! তাবলীগ জামাত বিশ্বব্যাপী এক মোবারক জামাত।
যার দাওয়াত পৃথিবীর প্রতিটি দেশে পৌঁছেছে।
আজ দেশকে পৃথক করে বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চল গুলোকে নিয়ে,
পৃথক কৃষ্ট রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে ইহান পরিস্থিতিতে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা,
দীন প্রচারের লক্ষ্য দাওয়াতে তাবলীগের কাজ করা আমাদের উপর ওয়াজিব।
আরো পড়ুনঃ
জামাতের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাবলীগ জামাতের অবদান, হিজরতের সময় নবীজি স. যে সকল রাস্তা ব্যবহার করেছিলেন