(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
পূর্ব যুগে স্ত্রী ছিল, তুচ্ছ কামদেবির মত।ইসলাম এসে নারীদেরকে স্ত্রী হিসেবে এক স্বর্গীয় মর্যাদায় প্রতিষ্টিত করেছে।
যেমন কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : “নারীজাতিকে তোমাদের স্ত্রী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে তোমাদের মধ্য হতে,
এজন্য যে, তোমরা তাদের কাছ থেকে শান্তি লাভ করবে।এবং তিনি তোমাদের উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন ভালবাসার সম্পর্ক,
যার বন্ধনে তোমরা পারষ্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সংসার ও ধর্ম পালন করতে পারো।
অন্যত্র বলা হয়েছে “স্ত্রীগণ তোমাদের পোশাক,ও তোমরা তাদের পোশাক সরূপ।স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন:
” তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করা ফরজ” বিদায় হজ্জের ভাষনে রাসুল সাঃ বলেছেন,
জেনে রেখ! তোমরা স্ত্রীদেরকে আল্লাহর নিয়ামত হিসেবে গ্রহণ করেছো।তাই তাদের অধিকারের বেলায় সদা সতর্ক থাকবে।
ভালো মানের সংমিশ্রণে দাম্পত্য জীবন,এতে যেমন গভীর ভালোবাসার নীড় রচনা হয়,তেমনি মলিনতা যে আসবে না তা ও নয়।
রাসুল সাঃ বলেছেন মুমিন স্বামী কখনো তার মুমিনা স্ত্রীর সাথে অসন্তুষ্ট হয়ে থাকতে পারে না।
যদি তার কোন একটি ব্যবহার স্বামীর অপছন্দ হয়,তাহলে অপরটি থাকে সন্তুষ্ট করবে।
ইসলাম সবসময় স্বামীকে তার স্ত্রীর অধিকারের প্রতি সচেতন করেছে। স্বামী যে কোন দোষে স্ত্রীকে প্রহার করার অনুমতি ইসলাম দেয় নি।
- স্ত্রীর কোন আচরন স্বামীর ভালো না লাগলে,প্রথমে তাকে বুঝাতে হবে,
- এতে সংশোধন না হলে,শয্যা ত্যাগ করবে।
- এতে সংশোধন না হলে পরস্পর আলোচনা করে সমাধান আনবে।
- এতেও ফল না হলে হালকা প্রহার করবে।
মুখমন্ডলে আঘাত করতে পারবে না, এটা আল্লাহর বিধান।