সারওয়ারে কায়েনাত হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উপর যত ধরনের অত্যাচার করা হয়েছে,তিনি তার সবই সহ্য করেছেন।
কিন্তু যখন তিনি দেখলেন,সাহাবায়ে কেরাম এবং আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত অত্যাচারের মাত্রা ছড়িয়ে পড়েছে,
তখন তিনি তাদের এদেশ ছেড়ে হাবশায় হিজরতের অনুমতি দিলেন।নবুওয়তের পঞ্চম বছর রজব মাসে ১২জন পুরুষ ও ৪জন মহিলা হাবশায় হিজরত করেন।
যাদের মধ্যে হযরত উসমান রা: এবং তার স্ত্রী হযরত রুকাইয়া রা:ও ছিলেন।(দুরুসুসসীরাত,পৃষ্টা১৫)
হাবশার বাদশাহ হিজরত কারীদের প্রতি কিরূপ আচরণ করলেন
হাবশার বাদশাহ নাজাশি হিজরত কারীদের প্রতি যথেষ্ট সমাদর করলেন।তারা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে সেখানে বসবাস করতে লাগলেন।
মুসলমানদের হিজরতের সংবাদ শুনে কুরাইশদের অবস্থা।
যখন কুরাইশরা এব্যাপারে জানতে পারল,তখন তারা আমর ইবনুল আস এবং আব্দুল্লাহ ইবনে রাবিআ'কে নাজাশির নিকট এই বলে পাঠালো যে,
এরা দুষ্কৃতকারী,এদেরকে আপনি আপনার রাজ্যে থাকার অনুমতি দিবেন না;বরং এদেরকে আমাদের হাতে সোপর্দ করে দিন।
কুরাইশদের প্রশ্নে নাজাশির জবাব
নাজাশি ছিলেন খুবই বিচক্ষণ ব্যক্তি।তিনি এদের কথার উত্তরে বল্লেন,”আমি একাজ সে সময় পর্যন্ত করতে পারব না,যে পর্যন্ত আমি তাদের ধর্ম ও তাদের ধ্যান ধারণা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না পারব।