(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
হাঁটাহাঁটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক লাভজনক। তবে খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রায় অনেকে জানি না।
প্রায় সাড়ে চৌদ্দ শ বৎসর আগে আমাদের প্রিয় নবী কারীম (সা.)-ও খালি পায়ে হাঁটার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পায়ে হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। পায়ের নিচের স্নায়ুগুলো অনেক সক্রিয় হয়ে উঠে ।
রক্ত ঘনত্ব হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। স্টক হার্ট ব্লক এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মানসিক প্রশান্তি আসে। এতে রাত্রের ঘুম অনেক ভালো হয়। মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা নিউরণগুলো অনেক সক্রিয় হয়ে উঠে।
তখন একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বাড়তে থাকে, তেমনি বুদ্ধিও (আকল) বাড়তে শুরু করে।
যারা লেখাপড়া করে তাদের মেধা শক্তি বাড়ানোর জন্য খালি পায়ে হাটা খুবই ভাল।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের নিচে একাধিক নার্ভগুলো সক্রিয় হয়ে শরীরের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে।
এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। খালি পায়ে হাঁটা উপকারীতা সম্পর্কে নবী কারীম (সা.) অনেক হাদিসে সে প্রসঙ্গে বর্ণনা এসেছে।
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটার উপদেশ দিয়েছেন। এতে অনেক উপকার রয়েছে, তাও বর্ণনা করেন।
(সুনানে নাসাঈ,হাদিস নং : ৪১৬০; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং : ২৩৯৬৯)
হাদিসের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটলে বিনয় আসে, অহমিকা অনেক দূর হয় এবং শরীর স্বাস্থ্যের জন্য লাভজনক ।
কিন্তু এক পায়ে জুতা পরিধান করে অন্য পা খালি রেখে হাঁটতে মানা করা হয়েছে হাদিসে।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন ১ পায়ে জুতা পরে না হাঁটে।
হয়তো উভয় পায়ে জুতা পরে হাঁটবে নয়তো উভয় পায়ের জুতা খুলে হাঁটবে। কারণ এতে দেখতে খারাপ লাগবে এবং হাটতেও অসুবিধা হবে।
(বোখারি, হাদিস নং : ৫৮৫৫, মুসলিম, হাদিস নং : ২০৯৭)