(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
প্রশ্ন : শিক্ষাঙ্গনে একটি বিষয় প্রচলিত আছে যে, হুজুর ছাত্রদের শরীরের যে স্থানে পিটান তা দোযখের জন্য হারাম হয়ে যায় , বিষয়টি কি সহীহ?
উত্তর: কোরআন-হাদীস ও গ্রহনযোগ্য কোনো বইয়ে আমারা এই বিষয়টি পাওয়া যায়নি যে, হুজুর শরীরের যে অংশে পিটান,
দোযখের আগুন সেই অংশের জন্য হারাম হয়ে যায় ; বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত মেরদাস রা. কে উদ্দেশ্য করে বলেন-
(যিনি বাচ্চাদের পড়াতেন ) “ছাত্রদের ৩টার বেশি মারবে না , যদি তুমি ৩টার বেশি মারো, তাহলে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত দিনে তোমার থেকে ক্বিসাস বা বদলা নিবেন”।
ফিকাশাস্ত্রবিদগন এই হাদীসের আলোকে বলেন, শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য হুজুর হাতের বেতের মাধ্যমে হালকাভাবে ছাত্রদের মারতে পারবে,
কিন্তু এক সাথে ৩ বারের বেশি নয়। ইসলামী শরীয়তে বেত, লাঠি, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দ্বারা কখনও আঘাত করা জায়েজ নয়,
চাই সেটা এমন বিষয় হোক যা শিখানো ফরজে আইন বা ফরজে কেফায়া ।
এরকমভাবে বাবা-মা শাসন করার জন্য বাচ্চাদের সাধারণভাবে মারতে পারবে , বেত-লাঠি ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করা (মারা) জায়েজ নয় ।
এইজন্য মাদ্রাসা মক্তবে শিক্ষকদের জন্য ছাত্রদেরকে বেত-লাঠি , চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করা জায়েজ নয়।
শিক্ষকদের জন্য এই সমস্ত কর্ম থেকে বিরত থাকা উচিত এবং আদর স্নেহমমতা ও ভালোবাসা দিয়ে পড়ানো উচিত, হ্যা, প্রয়োজনের সময় শাসন করার জন্য হালকাভাবে পিটাতে পারেন ।
(ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ। (ফতোয়া নাম্বার : 305-325/N=4/1439)
অনুবাদ: মুফতী আব্দুর রাকিব কাসেমী