(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ক্বেরাত থেকে ফারেগ হয়ে আল্লহু আকবর বলে রুকুতে যাবে।
রুকুতে যাওয়া ও রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময় উভয় হাত উঠানো ইমাম আযম (রহ.)- এর মতে মতে সুন্নত নয়।
কিন্তু, অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম এবং মুহাদ্দিসীন এটাকে সুন্নত বলে উল্লেখ করেছেন।
রুকুতে উভয় হাটু শক্তভাবে ধরবে ও হাতের আঙ্গুলসমূহ খোলা রাখবে, মাথা ও পিঠ নিতম্বের বরাবর করবে।
কিয়ামে যে পরিমাণ বিলম্ব করা হয় তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে রুকুতেও বিলম্ব করবে। রুকুতে “সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম” বেজোড় সংখ্যক বলবে।
কমপক্ষে তিনবার বলা সুন্নত। মুক্তাদিগণ ইমামের পরে রুকু-সেজদা করবে। নামাজের রোকনসমূহে ইমামের অগ্রগামী হওয়া হারাম।
অত:পর ইমাম মাথা উঠানোর পর মুক্তাদিগণ মাথা উঠাবে।
আরো সহজে নিয়মগুলি বুঝতে নিচের ছবির দিকে ভাল করে লক্ষ কিরুন:
মাথা উঠানোর সময় ইমাম আযম (রহ.)- এর মতে ইমাম বলবে “সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ” আর মুক্তাদিগণ বলবে “রাব্বানা লাকাল হামদ”।
মুনফারেদ উভয়টিই বলে। সাহেবাইনের মতে ইমাম সাহেবও উভয়টি বলবে।
অত:পর তাকবীর বলতে বলতে সেজদায় যাবে এবং প্রথমে উভয় হাটু অত:পর উভয় হাত তারপর নাক এবং মাথা উভয় হাতের মাঝে রাখবে,
হাতের আঙ্গুলসমূহ একত্র করে কেবলামুখী করে রাখবে। বাহুকে বগল থেকে, পেটকে রান থেকে এবং পায়ের গোছা ও দুই হাত জমিন থেকে দূরে রাখবে।
মহিলাগণ নিচু হয়ে সেজদা করবে এবং উক্ত অঙ্গসমূহকে একত্রে মিলিয়ে রাখবে।
রুকু ও কিয়াম অনুপাতে সেজদা করবে এবং “সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা” বেজোড় সংখ্যক বলবে।
কমপক্ষে তিনবার অনুচ্চস্বরে ও ধীরস্বভাবে বলবে। অত:পর তাকবীর বলতে বলতে মাথা উঠাবে।
অত:পর তাকবীর বলে প্রথম সেজদার ন্যায় দ্বিতীয় সেজদা করবে এবং পূর্বের ন্যায় তাসবীহ বলবে। তারপর তাকবীর বলে উঠবে।
প্রথমে মুখমণ্ডল অত:পর উভয় হাত তারপর হাটু উঠিয়ে দাঁড়াবে। এর পর প্রথম রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত আদায় করবে।
তবে দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতে ছানা এবং আউযুবিল্লাহ পড়তে হবে না
দ্বিতীয় রাকাত সমাপ্ত করে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসবে এবং ডান পা খাড়া রাখবে। উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ কেবলার দিকে ফিরিয়ে রাখবে।
হস্তদ্বয় উভয় রানের উপর রাখবে। ডান হাতের কনিষ্ঠ ও অনামিকা আঙ্গুল বন্ধ রেখে এবং মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি মিলিয়ে রেখে গোলাকৃতি করে ও,
শাহাদাত আঙ্গুলি খোলা রেখে তাশাহহুদ পাঠ করবে। এটি চার ইমাম থেকে প্রমাণিত। তবে ইমাম আযম (রহ.)- এর প্রসিদ্ধ মাজহাব হলো,
ইশারা করবে না। উভয় হাত ও পায়ের আঙ্গুলী কেবলার দিকে রাখবে। প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহহুদ পড়বে।
তাশাহহুদের পর তাকবীর বলে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবে। এ সময় উভয় হাত উঠানো অধিকাংশ ফুকাহাদের মতে সুন্নত।
ইমাম আযম ও ইমাম শাফেয়ী (রহ.)- মতে সুন্নত নয়। তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে বিসমিল্লাহ সহ শুধু সূরায়ে ফাতিহা চুপেচুপে পড়বে।
সব রাকাত থেকে ফারেগ হয়ে প্রথম বৈঠকের ন্যায় শেষ বৈঠক করবে। শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর- দুরূদে ইবরাহিম পাঠ করবে।
অত:পর দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করবে অথবা কোরআনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন দোয়া পড়বে।
আর মহিলাগণ উভয় বৈঠকে বাম নিতম্বের উপর বসবে এবং উভয় পা,ডান দিকে বের করে রাখবে। অত:পর উভয় দিকে সালাম ফিরাবে।
সালামের সময় মুনফারেদ শুধু ফেরেশতাদের নিয়ত করবে। আর ইমাম উভয় দিকের মুক্তাদি ও ফেরেশতাদের নিয়ত করবে।
মুক্তাদিগণ ইমামসহ সকল মুক্তাদি ও ফেরেশতাদের নিয়ত করবে। একাগ্রচিত্রে ধীরস্থিরভাবে ও নম্রতার সাথে সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করা উচিৎ।
দাঁড়ানো অবস্থায় সেজদার স্থানে দৃষ্টি রাখবে। সালামের পর আয়াতুল করসী একবার, সুবহানআল্লাহ তেত্রিশ বার,
আলহামদুলিল্লাহ তেত্রিশ বার, আল্লাহু আঁকবার চৌত্রিশ বার এবং কালিমায়ে তাওহীদ একবার পাঠ করবে।