(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
যদি কোন মহিলাকে নেহায়েত প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হয়, তবে যৌন কামনার ভাব না থাকলে সে মহিলার হস্তদ্বয় এবং মুখমণ্ডল দেখা জায়েজ।
যৌন কামনার ভাব নিয়ে দেখা জায়েজ নেই। কোরআনে মজীদে আল্লাহ পাক বলেন:
হে মুহাম্মদ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন (বেগানা মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত থেকে) নিজেদের চক্ষু অবনত রাখে।
আর লজ্জাস্থান হেফাযত করে ও মুনিন নারীদেরকে বলুন:
তারা যেন বেগানা পুরুষের দর্শন হতে স্বীয় চক্ষুকে বন্ধ রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাযত করে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি যৌন কামনার ভাব নিয়ে বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করবে, কেয়ামতের দিন তার চোখে গলিত সীসা ঢেলে দেয়া হবে।
বেগানা নারী ও দাড়িবিহীন বালকের প্রতি দৃষ্টিপাত ইত্যাদির হুকুম কি
নিজের স্ত্রী ও শরীয়ত অনুমোদিত দাসীর মলদ্বারে এবং হায়েয ও নেফাস অবস্থায় সহবাস করা হারাম।
মাসআলা: লাওয়াতাত বা পুং মৈথুন হারাম। লাওয়াতাত হারাম হওয়াকে অস্বীকারকারী কাফের।
মাসআলা: বেগানা নারী বা দাড়িবিহীন বালকের প্রতি যৌন কামনার সাথে হাত দেওয়া এবং যৌন কামনা পূর্ণ করার উদ্দেশ্য পদচারণা হারাম।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, চোখের যেনা দেখা, হাতের যেনা ধরা এবং মুখের যেনা হল এই বিষয় আলোচনা করা।
আর লজ্জাস্থান এ সকল কাজের সত্যতা প্রমাণ করে অথবা মিত্যা সাব্যস্ত করে।
অন্যের সতরের দিকে দৃষ্টিপাত করার হুকুম কি
অন্যের সতরের যে অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ তার দিকে দৃষ্টিপাত করা হারাম। অবশ্য প্রয়োজনের সময় দেখা জায়েজ।
যেমন: ডাক্তার, হাজাম, ধাত্রী অথবা পিচকারির মাধ্যমে চিকিৎসাকারীর জন্য প্রয়োজন মাফিক সতর দেখা জায়েজ।
পুরুষের জন্য অপর পুরুষের সতর ব্যতীত অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতি দৃষ্টিপাত করা জায়েজ। অর্থাৎ নাভি হতে হাটু পর্যন্ত দেখবে না।
তদ্রূপ এক মহিলার জন্য অপর মহিলার নাভি হতে হাটু পর্যন্ত দেখা জায়েজ নেই। তাছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখা জায়েজ আছে।
এমনিভাবে মহিলাদের জন্য যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি না হলে বেগানা পুরুষের সতর ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ দেখা জায়েজ।
উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা থাকলে মোটেও দেখবে না। পুরুষ লোকের জন্য মহিলাদের দেহের কোন অংশই দেখা জায়েজ নেই।