(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ফরজ নামাজের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। এই হিসাবে পার হতে না পারলে নাজাত পাওয়া যাবে না। তবে
যদি কোন বান্দার ফরজ নামাজের ত্রুটি থাকে আর তার নফল নামায আমলনামায় থাকে তাহলে তার নফল দ্বারা ফরজের ত্রুটি পূর্ণ
করে দিয়ে তার নাজাতের ব্যবস্থা করা হবে। নফল দ্বারা ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হয়। আমাদের কার নামাজ এমন হয় যার মধ্যে
কোনো ত্রুটি থাকে না? তাই ফরজ নামাজের সঙ্গে নফল নামাজ পড়া চাই; যাতে আমাদের আদায়কৃত নফল দ্বারা আমাদের ফরজের
ত্রুটি পূর্ণ হতে পারে এবং আমরা নাজাত পেতে পারি। নফল নামাজের ফায়দা: তার একটি ফায়দা এই যে, নফল নামাজ দ্বারা
ফরজের ঘাটতি পূরণ হয়ে নাজাতের ব্যবস্থা হবে। হাদীস শরীফে এসেছে হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি কিয়ামতের দিন বান্দার আমলসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম ফরজ নামাজের হিসাব হবে! তার নামায
ঠিক হলে সে কামিয়াব হবে এবং তার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে আর যদি তার নামায ঠিক না হয় তাহলে সে ব্যর্থ হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর যদি ফরজ নামাজের কিছু ত্রুটি বের হয় তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন এই বান্দার কিছু নফল আছে কিনা দেখো; যা দ্বারা
ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে।( তিরমিজি শরীফ )
নফল নামাজের আরো একটি ফায়দা এই যে, নফল নামাজ দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার নৈকট্য লাভ হয়। হযরত আবু হুরায়রা রা.
কর্তৃক বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদীসের একাংশে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেন:
নফল দ্বারা বান্দা আমার নৈকট্য লাভ করে এমনকি আমি তাকে ভালোবাসতে শুরু করি। (বুখারী শরীফ ) অতএব আল্লাহ তাআলা
আমাদের সবাইকে নফল নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।।
আরও পড়ুন:-
হাদিসের আলোকে নামাজের গুরুত্ব
নামাজ শুরু করার পর যে ছয়টি মাসআলা লক্ষণীয়
ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যে আটটি উপকার লাভ করবে
অনাদায়ি নামাজের ফিদিয়া