নামাজ মাকরূহ হওয়ার কারণ ২২টি। যথা:-
১. নামাজরত অবস্থায় কাপড় বা শরীর নিয়ে খেলা করা মাকরূহ, যদি তা আমলে কাসীর না হয় আর আমলে কাসীর হলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
২. সেজদার স্থান থেকে কংকর বা পাথরকণা সরানো (মাকরূহ)। অবশ্য সেজদা করা অসম্ভব হলে এক-দুইবার কংকর সরানোর অবকাশ আছে।
৩. আঙ্গুল সমূহকে মলা বা টেনে ফুটানো।
৪. কোমরে হাত রাখাও মাকরূহ।
৫. ডানে-বামে মুখ ফিরানোর দ্বারা যদি সিনা কেবলার দিক থেকে ফিরে যায় তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
আর যদি সিনা কেবলা দিক থেকে না ফিরে, তাহলে নামাজ নষ্ট হবে না; অবশ্য নামাজ মাকরূহ হবে।
৬. উভয় হাটু খাড়া করে হাত মাটিতে রেখে নিতম্ব ও পায়ের উপর কুকুরের ন্যায় বসা।
৭. সেজদায় উভয় বাহুকে মাটিতে বিছিয়ে দেয়া।
৮. হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দেয়া।
৯. ফরজ নামাজে বিনা ওজরে আসন করে বসা।
১০. মাটি লেগে যাওয়ার ভয়ে কাপড় হেফাযত করা।
১১. সদলে ছাওব করা অর্থাৎ কাপড় কাঁধে রেখে তার উভয় প্রান্ত একত্র না করে ঝুলিয়ে দেয়া।
১২. হাই তোলা। হাই ও হাচি যথাসম্ভব প্রতিহত করবে। না পারলে সমস্যা নেই।
১৩. শরীরের অলসতা দূর করার জন্য মোচড়ানো।
১৪. চোখ বন্ধ রাখা। অথচ দৃষ্টি সেজদার স্থানে রাখা উচিত।
১৫. চুল মাথার উপর ভাজ করে গিরা দিয়ে নামাজ পড়া। মাথায় চুল থাকলে নামাজের মধ্যে তা ছেড়ে রাখা সুন্নত যাতে চুলও সেজদা করতে পারে।
১৬. খোলা মাথায় নামাজ পড়া মাকরূহ। তবে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশের নিমিত্তে এরূপ করলে মাকরূহ হবে না।
১৭. আয়াত ও তাসবীহসমূহ হাতে গণনা করা। তবে সাহেবাইন (রহ.)- এর মতে এটা মাকরূহ নয়।
১৮. শুধু ইমাম সাহেব মসজিদের মেহরাবে এবং সমস্ত লোক মেহরাবের বাইরে দাঁড়ানো।
১৯. ইমাম সাহেব একা উঁচু স্থানে এবং সমস্ত লোক নিচে দাঁড়ানো।
২০. কাতারে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পিছনে একা দাঁড়ানো।
তবে যদি সুযোগ না থাকে তাহলে (সামনের কাতার থেকে মাসআলা জানে এমন একজনকে টেনে এনে নিজের সাথে দাড় করাবে। তার পরও চেষ্টা করবেন একা শুধু কাতারে না দাঁড়াতে।
২১. মানুষ অথবা জন্তুর ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করা।
২২. সামনে, বামে অথবা ডানে ছবি থাকাবস্থায় নামাজ মাকরূহ। তবে যদি ছবি পায়ের নিচে কিংবা পিছনে থাকে, তাহলে কোন ক্ষতি নেই।
অনুরূপভাবে প্রাণহীন জিনিসের ফটো থাকাতেও কোন ক্ষতি নেই। নামাজে সাপ ও বিচ্ছু মেরে ফেলা মাকরূহ নয়।
ইমাম সাহেব মসজিদে দাঁড়িয়ে মেহরাবে সেজদা করাও মাকরূহ নয়। এমনিভাবে আলাপরত ব্যক্তির পিছনে, ঝুলন্ত কোরআন শরীফ,
তরবারি বা জ্বলন্ত মোমবাতি অথবা বাতি সামনে থাকাবস্থায় নামাজ পড়াও মাকরূহ নয়।