(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
মুহাম্মদ আবদাল :কোন বিপদ আক্রান্ত ব্যক্তি নামাজরত ব্যক্তির কাছে সাহায্য
প্রার্থনা করার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে নামাজ ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব।
যেমন কারো প্রতি কোন জালিম বা হিংস্র প্রাণী আক্রমণ করল,
এমতাবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি যদি নামাজ রত ব্যক্তির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে,
অথবা নাই করে তথাপিও যদি নামাজরত ব্যক্তি দেখে এবং আক্রান্ত লোকটিকে রক্ষা করার মত তার শক্তি থাকে,
তবে তার নামাজ বাদ দিয়ে আক্রান্ত লোকটিকে বিপদ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা ওয়াজিব।
কিন্তু পিতা বা মাতার ডাকের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে নামাজ ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব নয়,
অর্থাৎ পিতা বা মাতা কোন বিপদে আক্রান্ত না হলে তাদের ডাকে ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয়া জায়েজ নয়,
কিন্তু যদি নফল নামাজ হয় এবং পিতা-মাতা তার নামাজে রত হওয়ার কথা ও জানে,
তবে নফল নামাজ ছেড়ে পিতা বা মাতার ডাকে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব নয়;
দিলে দিতে পারে, না দেওয়া উত্তম। এক দিরহাম এর সমপরিমাণ মূল্যের কোন
জিনিস চুরি হয়ে যেতে লাগলে নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ,
যদিও সেই জিনিসটি অন্য কারো হয়। এক দেরহামের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০/৬০ টাকার মত,
সুতরাং এ পরিমাণ মূল্যের জিনিস চুরি হয়ে যেতে দেখলে,
নামাজ ছেড়ে দিয়ে সেই জিনিস রক্ষা করার চেষ্টা করা জায়েজ।
কারো উপর কোন আক্রমণের আশঙ্কা থাকলে অথবা বড় গর্ত কিংবা
তদ্রূপ কোন কিছুতে কোন অন্ধ ব্যক্তির পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে, নামাজ ছেড়ে দেয়া জায়েজ।
কিন্তু আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি হলে
অথবা গর্ত কিংবা অন্য কোন জায়গায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলে,
এমতাবস্থায় নামাজ ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব।
এমনিভাবে সফরত ব্যক্তি যদি চোর অথবা ডাকাতের আশঙ্কা করে,
তবে তার ওয়াক্তিয়া নামাজ বিলম্বিত করা জায়েজ।
অর্থাৎ যদি সে কোন ওয়াক্তিয়া নামাজ
যথা-সময়ে পড়ে তবে তাকে চোর বা ডাকাতে ধরে ফেলতে পারে,
এমতাবস্থায় যদি নামাজ যথাসময়ে না পরে দ্রুত পথ অতিক্রম করে বিপদজনক এলাকা পার হয়ে যেতে চায়,
তবে তার জন্য ওয়ক্তিয়া নামাজ বিলম্বিত করে সে এলাকার পার হয়ে যাওয়া জায়েজ ,
পরবর্তীতে সে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে নামাজের কাজা আদায় করে নেবে।