- (মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
যাদের ফজরের নামায নিয়মিত ছুটে যায় তাদের করণীয় সম্পর্কে
আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করি। কিন্তু প্রায় সময়েই ফজরের নামায যথাসময়ে বা জামা'আতের সাথে আদায় করতে পারি না।
তার প্রথম কারণ হল-ঘুম, দ্বিতীয়তঃ শারীরিক নাপাকী। এখন কথা হলো- ফজরের নামায সূর্যোদয়ের পর আদায় করলে কি নিয়মে পড়তে হবে? কাযা নিয়ত করতে হবে কি?
ঘুম থেকে জাগার সাথে সাথে বা নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়ার সাথে সাথে যদি আদায় করি (সূর্যোদয়ের পর), তাহলে কি কাযা পড়তে হবে?
জবাবঃ ঘুমের কারণে প্রতিদিন ফজরের নামায কাযা হবে- এটা শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য কোন উযর নয়।
কারণ-ঘুম থেকে উঠার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ কোন কঠিন ব্যাপার নয়। এর জন্য উচিত যে, যাদের উঠতে কষ্ট হয়,
তারা রাত্রে একটু আগেভাগেই নিদ্রা যাবে এবং ফজরের সময় উঠার জন্য এলার্ম ঘড়ি ব্যবহার করবে বা আশে পাশের লোকজনকে ডেকে দেয়ার জন্য অনুরোধ করবে।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারে না।
কিন্তু দুনিয়াবী বিশেষ দরকারে বা নিজের কলিজার টুকরা সন্তানদিগকে খৃষ্টানদের স্কুলে পড়ানোর জন্য
ইংরেজ ও খোদার দুশমনদের হাতে পৌঁছে দিয়ে তাকে জাহান্নামে পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য
ফজরের কয়েক ঘন্টা আগে জেগে রেডী হতেও কোন কষ্টবোধ করে না। বরং খুশী থাকে।
আবার অনেকে চাকুরী রক্ষার জন্য অনেক আগে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। অনেক দূরে কোথাও যেতে যানবাহন ধরার জন্য খুব ভোরে উঠে।
এগুলো কিভাবে সম্ভব হয়? আল্লাহ্র সন্তুষ্টি কি গান্ধা দুনিয়া থেকে নিম্নমানের হয়ে গেলো?
নাপাকীর প্রশ্নও অনর্থক। কারণ- নামাযের ১৫/২০ মিনিট আগে উঠেও পাক হওয়া সম্ভব।
সুতরাং সর্বাবস্থায়ই আপনাকে ফজরের পূর্বেই উঠতে হবে এবং এর জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও যদি কদাচিৎ কখনও ঘুম না ভাঙ্গে এবং সূর্যোদয়ের পরে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার ঘটনা ঘটে যায়,
তাহলে এমন পরিস্থিতিতে সূর্যোদয়ের পরে ফজরের নামায কাযা পড়ে নিবেন। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর কাযা পড়া ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা নেই।
(প্রমাণঃ মুসলিম শরীফ, ১ঃ২৩৮)ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া (১ম খণ্ড),পৃষ্ঠাঃ ৩৫৮-৩৫৯,প্রকাশনায়ঃ মাকতাবাতুল আশরাফ।
আরো পড়ুন 👉👉 ফজরের নামাজের পর কখন ঘুমানো নিষেধ এবং কখন নিষেধ নয়, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের নামাজের ফজিলত