(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
সূর্যোদয়ের পূর্বে যেমন সুবহে সাদিকের সময় পৃথিবী জোড়া আলোকরশ্মি আর দিগন্তভরা লালিমা এ সংসারকে রবি উদয়ের সুসংবাদ জানিয়ে দেয়।
অনুরুপভাবে যখন নবুওতের সূর্যোদয়ের সময় ঘনিয়ে এলো তখন বিশ্বের দিকে দিকে এমন সব অলৌকিক ঘটনা ঘটতে লাগলো,
যা নবীজির আগমনের সুসংবাদ দিচ্ছিল।যেগুলোকে মুহাদ্দিসীন ও ঐতিহাসিকদের পরিভাষায় (ইরহাসাত) বলা হয়।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের পূর্বে কি কি বরকত প্রকাশ পেয়েছিল? তিনি গর্ভাবস্থায় তার মা কি কি স্বপ্ন দেখেছিলেন?
নবীজির আম্মাজান বর্ণনা করেন যে, নবীজি যখন তার গর্ভে এলেন তখন তাকে স্বপ্নে সুসংবাদ জানানো হলো যে,
তোমার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে তিনি এ উম্মতের সরদার।সন্তাটি জন্ম হলে তুমি এই দোয়া করবে যে,
“আমি তাকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে দিচ্ছি” আর তার নাম রাখবে মোহাম্মদ।
[সীরাতে ইবনে হিশাম]তিনি আরো বলেন,মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার গর্ভে আসার পর একবার আমি একটি নজর দেখতে পাই,
যার আলোকে বসরা নগরী ও সামের (সিরিয়া) অট্টালিকা সমূহ আমার সামনে ভেসে উঠলো। -[সীরাতে ইবনে হিশাম]
নবী করীম সাঃ গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মায়ের কোন কষ্ট অনুভব হয়েছিল কি ?
নবীজির আম্মা বর্ণনা করেন আমি মুহাম্মাদ অপেক্ষা সহজ ও আরামদায়ক গর্ভ দ্বিতীয় টি আর দেখিনি,
অর্থাৎ গর্ভকালীন সময় মহিলাদের সাধারণত যে বমি বমি ভাব বা অলসতা থাকে তা আমার হয়নি।
এছাড়াও আরো অনেক ঘটনা সমূহ সংঘটিত হয়েছে যার সংকুলান আমার এ পোষ্টে দেওয়া সম্ভব হয়নি,
তবে আগামী অন্য কোনো পোস্টে আরো বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
(সূত্র; সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া)