(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
আমার প্রিয় নবী কামলি ওয়ালা,খাতামুন নাবীয়্যীন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই নিখিল বিশ্বে,অগনন সৃষ্টির ভীরে যার কোন উপমা নাই ; যার কোন তুলনা নেই।
কুদরতের অনুপম তুলিতে আকা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির কৌশলের এক নিখুঁত নমুনা তিনি।
যাকে আকতে চায় ভক্ত রাজ্যের প্রতিটি প্রান নিজস্ব ভাবনার রং তুলিতে;ধরে রাখতে চায় স্মৃতির অম্লান পাতায়।
কিন্তু পারেনা। অবশ্য হাল ছেড়ে বসেও থাকেনা।
শত অপারগতা,অক্ষমতা আর ভঙ্গুরতা সত্বেও সে তার প্রিয়তম রাসুলের অনুপম সৌম্যকান্তির জোৎস্নায় অবগাহন করতে চায় প্রতিনিয়ত;
তুলে ধরতে চায় পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে তার প্রিয় হাবিবকে।
কারণ তার দেহ সৌন্দর্যের মাঝে ও রয়েছে হেদায়েতের বিমল আলো।
পথহারা মানুষের পথের দিশা। আর সেই নূরোজ্জল মুখশ্রীর প্রতি একবার যে তাকিয়েছে গভীর একাগ্রতায়,সে আজিবন ভুলতে পারেনি অনুপম সেই সৌন্দর্যের স্বাদ।
আবার অনেকেই তো প্রথম দৃষ্টিতেই খুজে পেয়েছে হেদায়েতের অনির্বাণ আলো।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রা: ছিলেন বিশিষ্ট আলেম। তাওরাতের সকল জ্ঞান ছিল তার নখদর্পণে।
নবীজীর পবিত্র চেহারায় তিনি খুজে পেয়েছেন সত্যের আলো।
তিনি নিজেই বলেছেন,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আসলেন,সবাই ছুটে এলো দেখার জন্য।
সকলের সাথে আমিও এলাম তাকে একনজর দেখার জন্য।
যখন গভীর দৃষ্টিতে থাকালাম তার পবিত্র চেহারার দিকে,তখন আমার স্পষ্ট মনে হল,এটা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়।
এমন আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে।
তার বদন থেকে খুশবু ছড়াতো প্রস্ফুটিত কুসুমের মতো। শরীর থেকে গড়িয়ে পড়া শ্বেত বিন্দু সুরভী বিলাতো মেশকের মতো।
বরং সেই সুবাস আরোও তরতাজা।
তার ঠিকরে পরা রূপ-লাবণ্যে বিমোহিত সাহাবায়ে কেরাম মাঝে মধ্যে মাপতে চাইতো তার শরীরের অশরীরী পরিধি।
গভীর দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে থাকতো আকাশের পূর্ণিমা চাদের দিকে,অতঃপর নবীজীর প্রতি।
তিনি চাদের চেয়েও সুন্দরতম।
তারা তৃপ্তির সুরে বলতেন,তিনি সৌন্দর্যে সকলের সেরা আলোকময়। তার তুলনা নেই। তিনি নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল।
তিনি হলেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।