(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
নামাজের শর্ত: (বাহিরের) ফরজসমূহের মধ্যে প্রথম: শর্ত হচ্ছে- নাজাসাতে হাকীকী ও নাজাসাতে হুকমী থেকে মুসল্লীর শরীর পাক হওয়া।
দ্বিতীয়: কাপড় পাক হওয়া, তৃতীয়: নামাজের জায়গা পাক হওয়া, চতুর্থত: কেবলামুখী হওয়া, এবং পঞ্চমত: সতর ঢেকে রাখা।
পুরুষের সতরের পরিমাণ হলো নাভী থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত। এমনিভাবে দাসীর পেট ও পিট পুরুষের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে ঢেকে নেওয়া।
স্বাধীন মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। তবে মুখমণ্ডল, উভয় হাতের তালু ও উভয় পায়ের পাতা ঢাকা ফরজ নয়।
পুরুষ ও মহিলাদের শরীরের যে অঙ্গগুলো ঢেকে রাখা ফরজ, যদি তার এক চতুর্থাংশ বিবস্ত্র হয়ে যায় তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
নাওয়াযেল নামক গ্রন্থে আছে যে, মহিলাদের গলার স্বরও সতরের অন্তর্ভুক্ত। ইবনে হুমাম রহ. বলেন, এই হিসেবে যদি মহিলারা নামাজে ক্বেরাত উচ্চ:স্বরে তেলাওয়াত করেন,
তাহলে তাদের নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
যদি কারো সতর ঢাকার মত কাপড় না থাকে অথবা যদি কারো কিবলার দিক জানা না থাকে তাহলে তার নামাজ পড়ার হুকুম কি?
কারো সতর ঢাকার মত কাপড় না থাকলে তার জন্য উলঙ্গ হয়ে নামাজ পড়া জায়েজ আছে।
আর যদি কারো কিবলার দিক জানা না থাকে, তাহলে তাহাররী তথা অঅনুমান করে নামাজ পড়বে।
তাহাররী ব্যতীত তার নামাজ জায়েজ হবে না।
কোন কারণবশত: কিবলামুখী না হতে পারলে তার হুকুম কি?
শত্রুর ভয়ে অথবা অসুস্থতার কারণে কেবলার দিকে মুখ করতে না পারলে, যেদিকে সম্ভব সে দিকে মুখ করেই নামাজ আদায় করবে।
(হাওলা: মালাবুদসা মিনহু -৫৭)