প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের শুরুতে “আল্লাহর যিকির” মাসনুন।প্রত্যেক কাজের শুরুতে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত ঐ যিকিরই মাসনুন।
এই হিসাবে দেখা যায়, অনেক কাজের শুরুতে ” বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম “বলা বা লিখার নির্দেশনা রয়েছে।
ইহা শরীয়তের মাসনুন বিধান হলেও এর তাৎপর্য অনেক গভীর।
সংক্ষেপে বলা যায় যে, এর মাধ্যমে বান্দা নতুন করে ايا ك نعبد و ايا ك نستعين এর অঙীকার লাভ করে।
আল্লাহর নেয়ামত সমুহ স্মরন করে এবং আল্লাহর দিকে রূজু করে,
কাজের মধ্যে দুরুস্তি ও খায়ের এবং বরকতের দরখাস্ত করে। এই জন্য এই আমল গুরুত্বের সাথে করা চাই।
আর যেহেতু এর মধ্যে মাহবুবে হাক্বীকী আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র নাম রয়েছে,
তাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে পাঠ করা চাই।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের অনেকেই অনেক সময় এমন ভাবে বিসমিল্লাহ পাঠ করে থাকেন,
তা দেখে মনে হয় যেন এটা একটি অতিরিক্ত কাজ।মুল কাজ হলো যা শুরু করা হচ্ছে।
বলাবাহুল্য এই সুন্নাতের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার কারণেই তারা তা করেন।
তাই আমাদের উচিত হলো, বিসমিল্লাহকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রধান করে তা সুন্দর করে আদায় করা।
আবার ” বিসমিল্লাহ ” পাঠ করতে গিয়ে “আর-রাহীম” শব্দে ওয়াকফের কারণে দীর্ঘ মদ করতে হবে।
কিন্তু যদি এক আলিফও মদ না করা হয় তাহলে তা লাহনে জলি হবে।
তেমনি “আররাহমান” এর মীমে এক আলিফ মদ করা জরুরি, অতএব বিসমিল্লাহ পাঠের সম্য আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা জরুরি।
দুরূদ শরীফ ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল
দোয়ার বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে দুরূদ শরিফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ হিসাবে তা আল্লাহর ইবাদত।
দ্বিতীয়ত এর সম্পর্ক রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে।
যার হক্ব মুসলমানদের উপর তাদের প্রানের চেয়েও বেশি।
এবং যিনি আল্লাহ তায়ালার পরে আল্লাহর বান্দাদের উপর বেশি অনুগ্রহ কারী।
দুরূদের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে তাঁর জন্য দোয়া করা হয়।
তাই এই আমল অত্যন্ত ভক্তি ও অনূরাগের সাথে আদায় করা উচিত।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উল্লেখ এক মজলিসে বার বার করা হলে মাসআলাগত দিক থেকে
যদিও প্রতিবার দুরূদ পড়া জরুরি নয়,মুস্তাহাব, কিন্তু এখানে বিষয়টি মুহাব্বাতের।
এ জন্য মা শা আল্লাহ মুসলিম উম্মাহ এই মুস্তাহাব আমলের প্রতি যত্নবান। কিন্তু এরপরও আমাদের মধ্যে কেউ কেউ উদাসিনতার শিকার হয়ে যায়।
কেউ “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” এমনভাবে পাঠ করে, যেন তা একটি অতিরিক্ত বিষয়,
এজন্য এতো দ্রুত ও অস্পষ্ট ভাবে তা পাঠ করা হয় যে,কিছু অক্ষর সঠিকভাবে উচ্চারিত হয় না। এটা ঠিক নয়।
দুরূদকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল মনে করে আদায় করা উচিত।
লেখার মধ্যে দুরূদ শরিফকে খুবই মাজলুম বানানো হয়
দুরূদ শরিফকে সংক্ষেপ করতে করতে কেউ শুধু “সঃ” লেখেন কেউ বা আবার “দঃ” লেখেন, মনে হয় যেন এটা শুধু অতিরিক্ত কাজই নয়,বিরাট বড় একটি বিপদ ও বটে।
এখন প্রশ্ন হলো এই ছোট্ট দুরূদটি লিখতে কতটুকু কাগজ/কালি ব্যয় হয়? আহ! আমরা যদি জানতাম এই লেখাটুকুই হতে পারে আমাদের সঞ্চয়।
প্রিয় পাঠক! আমাদের একটু সচেতনতাই হতে পারে আমাদের একমাত্র মুক্তির উপায়। মহান আল্লাহ আমাদের কে দীনের সিঠিক বুঝ দান করুক। আমীন।
✒পাঠিয়েছেন.ক্বারী মাওলানা মিজানুর রহমান সাইফ। 📲+8801743259179
আরো পড়ুন কোরআন পাঠের কিছু আদব,প্রচলিত নিয়মে ঈদ মোবারক বলা বিদআত, সুরা কাহাফের ফজিলত