Breaking News
Home / জরুরী মাসাইল / বাজি (জুয়া) খেলার ক্ষতি

বাজি (জুয়া) খেলার ক্ষতি

(২৪ডটকম)

বাজি (জুয়া) খেলার ক্ষতি

চলছে কাপ ফুটবল কাতার ২০২২। এ খেলায় ফুটবল প্রেমিদের মধ্যে বিরাজ করছে এক উৎসবের আমেজ। সাথে সাথে জুয়ারিদের একটি

বিরাট অংশ তাদের (জুয়া) খেলার একটি মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে , যা তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষা করার পর পেয়েছে। কিন্তু এই খেলায়

তাদের কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হচ্ছে তা আমরা এই লেখা থেকে জানবো! আসলে এই বাজি (জুয়া) খেলায় কোনো লাভ নেই। বরং বাজি খেলায় বহু

ক্ষতি রয়েছে! এর মধ্যে কয়েকটি নিম্ন তুলে ধরা হলো:-

(এক) বাজি (জুয়া) খেলার মধ্যে লাভ ও ক্ষতি উভয়ের সম্ভাবনা থাকে। এতে বিজয়ী ব্যক্তির কেবল লাভই লাভ আর পরাজিত ব্যক্তির ক্ষতিই

ক্ষতি। এতে পরাজিত ব্যক্তির মাল বিজয়ীর হাতে চলে যায়। এতে যে ব্যক্তি লাভবান হয় সে পরোপকারের ব্রত থেকে দূরে সরে ক্রমেই রক্ত

পিপাসুতে পরিণত হয়ে পড়ে। বিজয়ী ব্যক্তি রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ে তুলে আর পরাজিত ব্যক্তি দিন দিন সম্পদ হারা হতে থাকে। জুয়াড়ি

ব্যক্তির হাতে না থাকলে সে সম্পদ বিক্রি করে, প্রয়োজনে ঘরের সামানপত্র এমনকি ঘর বিক্রি করে খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে!

তাতেও সম্ভব না হলে চুরি ডাকাতি করে হলেও খেলায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করে থাকে। জুয়া খেলার সাথে চোর, ডাকাতের এবং খারাপ লোকদের

সম্পৃক্ততাই বেশি। মোটকথা এই খেলায় যেমন অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হয় তেমন মানুষের চারিত্রিক ক্ষতি রয়েছে চরমভাবে।

(দুই) বাজিতে (জুয়ায়) অভ্যস্ত ব্যক্তি ক্রমান্বয়ে উপার্জনের ব্যাপারে অলস, উদাসীন ও নিস্পৃহ হয়ে যায়। তার একমাত্র চিন্তা থাকে বসে বসে বাজির

মাধ্যমে অন্যের মাল হাতিয়ে নেওয়া। যাতে কোনো পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। এমন করে অলস হয়ে তারা দেশ ও দশের উন্নয়নে আর কোনো অবদান রাখতে পারে না।

(তিন) বাজির (জোয়ার) আরেকটি ক্ষতিকর দিক হচ্ছে বাজিও মদের মত পরস্পরের মধ্যে ফাসাদ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। কেননা পরাজিত ব্যক্তি

স্বাভাবিকভাবেই বিজয়ী ব্যক্তির প্রতি হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করে এবং শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। জোয়ার জয় পরাজয় এক পর্যায়ে মারামারি এমনকি

হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়।
(চার) জুয়ারি ব্যক্তি সর্বদা জুয়ার নেশায় মদখোর ব্যক্তির ন্যায় মাতাল অবস্থায় থাকে । এ ে সে

ছেলেমেয়ে স্ত্রী ও আত্মীয় কারোর খবর রাখতে পারে না। ফলে জুয়াড়ি ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে না। ছেলে-

মেয়েদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত বানাতে পারে না বরং তারাও পিতার দেখে দেখে ওই সর্বনাশা খেলায় অংশগ্রহণের প্রয়াস পায়। এমনি করেই জোয়াড়ি

ব্যক্তির পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। জুয়াড়ী ব্যক্তির মেজাজে সর্বদা রূক্ষতা ও নিষ্ঠুরতা বিরাজমান থাকে। লাভবান ব্যক্তি আরো লাভের নেশায় মাতাল

হয়ে ওঠে আর পরাজিত ব্যক্তি প্রতিশোধের নেশায় উন্মাদ হয়ে যায়। ফলে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের সাথে তার ঝগড়া, বিবাদ ও অশান্তি সর্বদা লেগেই থাকে।

ে স্ত্রী কর্তৃক হত্যা বা স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা, এ জাতীয় র পেছনে জোয়ার প্রভাবকে খাটো করে দেখা যায় না।

(পাঁচ) বাজির সবচেয়ে ক্ষতির দিকটি হল:- এই খেলা মানুষকে আল্লাহ বিমুখ এবং , রোজা তথা ইবাদত বন্দেগীর ব্যাপারে

চরমভাবে উদাসীন ও গাফিল করে দেয়। তার একমাত্র ধ্যান-ধারণা হয়ে যায় কেমন করে আরো টাকা হাসিল করা যায় অথবা কেমন করে

পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া যায়। কাজেই জুয়ার এই সর্বনাশা গ্রাস থেকে বাঁচার জন্য অপরিহার্য হলো বাজি খেলা থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।

About মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

আমি মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ। 15ই এপ্রিল 1994 ঈসায়ি রোজ শুক্রবার মৌলভীবাজার জেলার হামরকোনায়( দাউদপুর) জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুটা প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে হলেও 4 বছরের মাথায় ইসলামিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে মাদ্রাসায় ভর্তি হই! আলহামদুলিল্লাহ! সর্বশেষ 2017 ঈসায়ি কওমি মাদ্রাসার উচ্চতর ডিগ্রী মাস্টার্স (দাওরায়ে হাদিস) হযরত শাহ সুলতান রহ. মাদ্রাসা থেকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল ক্বওমিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করি! নিজে যা কিছু জেনেছি তা লিখনীর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আমৃত্যু ইসলাম ও মানবতার সম্পর্কে জানতে ও জানাতে এই সাইটের সাথে সংযুক্ত হয়েছি! আল্লাহ আমাকে ও সবাইকে কবুল করুন।আমিন!!!

Check Also

প্লেইন ট্রেন এ নামাজ পড়ার পদ্ধতি

প্লেন ট্রেন ও বাসে কিবলামুখী হওয়া / নামাজ আদায়ের পদ্ধতি

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) ট্রেন নির্মাণগতভাবেই এ ধরনের যে- তাতে কিবলামুখী হওয়া সম্ভব। তবে যদি নামাজের মধ্যে ট্রেন …

Powered by

Hosted By ShareWebHost