Breaking News
Home / ইবাদত / জিকিরের ফজিলত

জিকিরের ফজিলত

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

জিকিরের ফজিলত

জিকিরের ফজিলত অসংখ্য। তন্মধ্যে এটাও কম ফজিলত নয় যে, বান্দা যদি আল্লাহ স্বরণ করে, তাহলে আল্লাহও তাকে স্বরণ করেন।

আবূ উসমান মাহদি রহ. বলেছেন যে, আমি সে সময়টির জানি, যখন আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে স্বরণ করেন। উপস্থিত লোকেরা জিজ্ঞাসা

করলো, আপনি কেমন করে জানতে পারেন? তিনি বললেন: তা এজন্য যে, কুরআনে কারীমের ওয়াদা অনুসারে যখন কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহকে স্বরণ

করে, তখন আল্লাহ নিজেও তাকে স্বরণ করেন। কাজেই বিষয়টি জানা সবার জন্যই সহজ যে, আমরা যখন স্বরণে আত্ননিয়োগ করব,

আল্লাহ তা'য়ালাও আমাদের স্বরণ করবেন। আর কুরআনে করীমের ভাষ্য এই যে, তোমরা যদি আমাকে আমার হুকুমের আনুগত্যের মাধ্যমে স্মরণ

কর, তাহলে আমিও তোমাদেরকে সাওয়াব ও মাগফেরাত দানের মাধ্যমে স্মরন করব। হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর রহ. জিকরুল্লাহর তাফসির

প্রসঙ্গে বলেছেন যে, জিকিরের অর্থই হচ্ছে আনুগত্য এবং  নির্দেশ মান্য করা। তাঁর বক্তব্য হচ্ছে:- “ ‍যে ব্যক্তি আল্লাহর ‍নির্দেশের মান্য করে না,

সে আল্লাহর জিকিরই করে না, ্যে যত বেশি নামায এবং তাসবীহ সে পাঠ  করুক না কেন।” মুফাসসির কুরতুবি ইবনে খুয়াইয রহ. এর

আহকামুর কুরআনের বরাত দিয়ে এ সম্পর্কে একটি হাদিস উল্লেখ করেছেন। যার মর্মার্থ হলো, রাসুল সা. বলেন:- যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালার

আনুগত্য করে, যদি তার , রোজা কমও হয়, সে-ই আল্লাহকে স্বরণ করে। অন্যদিকে যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশাবলীর বিরুদ্ধাচরণ করে,

সে নামাজ রোজা, তাসবিহ-তাহলিল প্রভৃতি বেশি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহকে স্বরণ করে না। হযরত যুননুনে মিসরি রহ. বলেন: যে ব্যক্তি প্রকৃতই

আল্লাহকে স্বরণ করে সে অন্যান্য সব কিছুই ভুলে যায়। এর বদলায় স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালাই সব দিক দিয়ে তাকে হেফাজত করেন এবং সব কিছুর বদলা

তাকে দিয়ে দেন। হযরত মু'আয রা. বলেন; আল্লাহর আযাব থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে মানুষের কোনো আমলই জিকরুল্লাহর সমান নয়।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ তা'য়ালা বলেন: বান্দা যে পর্যন্ত আমাকে স্বরণ করতে থাকে

বা আমার স্বরণে যে পর্যন্ত তার ঠোঁট নড়তে থাকে, সে পর্যন্ত আমি তার সাথে থাকি। (তাফসিরে আনওয়ারুল কুরআন ১/২২৮)

আরও পড়ুন:-

জান্নাত লাভ করার জন্য ১০টি জিকির

About মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

আমি মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ। 15ই এপ্রিল 1994 ঈসায়ি রোজ শুক্রবার মৌলভীবাজার জেলার হামরকোনায়( দাউদপুর) জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবনের শুরুটা প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে হলেও 4 বছরের মাথায় ইসলামিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে মাদ্রাসায় ভর্তি হই! আলহামদুলিল্লাহ! সর্বশেষ 2017 ঈসায়ি কওমি মাদ্রাসার উচ্চতর ডিগ্রী মাস্টার্স (দাওরায়ে হাদিস) হযরত শাহ সুলতান রহ. মাদ্রাসা থেকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল ক্বওমিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করি! নিজে যা কিছু জেনেছি তা লিখনীর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আমৃত্যু ইসলাম ও মানবতার সম্পর্কে জানতে ও জানাতে এই সাইটের সাথে সংযুক্ত হয়েছি! আল্লাহ আমাকে ও সবাইকে কবুল করুন।আমিন!!!

Check Also

মাইকে শবিনা খতম পড়ার হুকুম কী

মাইকে শবিনা খতম পড়ার হুকুম কী

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)   এই লিখনি থেকে আমরা মাইকে শবিনা খতম  পড়লে কি কি অসুবিধা হয় তা …

Powered by

Hosted By ShareWebHost