Muslimbd24.com
ফজরের সুন্নত নামাজ কতক্ষণ পর্যন্ত পড়া যাবে? এর উত্তরে বলা হয়:
জামাত শুরু হয়ে গেলেও কেবল ফজরের বেলায় আগে সুন্নত পড়ে নিতে হবে,
মসজিদের বারান্দায় পিলার কিংবা যে কোন কিছুর আড়ালে জামাতের স্থান থেকে দূরত্ব বজায় রেখে এই সুন্নত পড়তে হবে।
তবে যদি সম্পূর্ণ জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সুন্নত না পড়েই জামাতে শরিক হয়ে যাবে।
সূত্র: ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া খন্ড:১১ পৃ: ২৫৫
ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্য কোন সুন্নত হলে জামাত শুরু হয়ে গেলে আর সুন্নতে দাঁড়াবে না, বরং জামাত শরিক হয়ে যাওয়া জরুরী।
হানাফী এবং মালেকি মাহযহাবে ফজরের সুন্নতের বেলায় জামাত শুরু হয়ে গেলেও
সুন্নত পড়ার এত গুরুত্ব এই জন্য যে, ফজরের ফরজের পরে অন্য কোন নামাজ পড়া নিষেধ।
আবু সাঈদ (রাযি:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন:
“আসরের পর কোন নামাজ নেই সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত, এবং ফজরের পর কোন নামাজ নেই সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭৯৬)
তাছাড়া ফজরের সুন্নতের গুরুত্ব অন্য যেকোনো নফল ও সুন্নত নামাজের থেকে অধিক,
হাদিসে এসেছে আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন:
“নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে এত গুরুত্ব দিতেন,যা অন্য কোন নফল বা সুন্নত নামাজের দিতেন না।
সূত্র: বুখারী শরীফ, হাদীছ নং১১৬৩, মুসলিম হা.নং ৭২৪,
হযরত আয়েশা (রাযি:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন,
ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। সূত্র: সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৭২৫
সারাংশ: হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ফজরের সম্পূর্ণ জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে সুন্নত পড়ে নিতে হবে, আর ঐ আশংকা যদি থাকে তাহলে জামাতে শরিক হয়ে যাবে।