(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
নিজের ইসলাহের ফিকির করা, ইসলাহের জন্য যথাযথ চেষ্টা করা এবং কার্যতভাবে ইসলাহে লেগে যাওয়া প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ
ইসলাহ মানে হল, জীবনটা ঈমানী জীবন হওয়া।
জীবনের প্রত্যেক শাখা ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধান ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ-আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া।
বিষয়টি বলতে তো অনেক সহজ কিন্তু আমলী ময়দানে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের অনেক অবহেলা ও প্রান্তিকতা প্রকাশ পায়।
যার বড় একটি কারণ হল, ইসলাহ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ইলমের অভাব।
এ অভাব দূর করার জন্য আমাদের এক দ্বীনী ভাই, যিনি নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার বন্ধু-বান্ধব আপনজনের জন্য সহজবোধ্য সংক্ষিপ্ত একটি লেখা প্রস্তুত করেন।
লেখাটি নযরে সানী ও সম্পাদনার জন্য আমার কাছে পাঠান।
আমার পরামর্শ মোতাবেক মাওলানা সায়ীদুল হক লেখাটির নযরেসানী করেন এবং অনেকগুলো জরুরি বিষয় তাতে যুক্ত করেন।
তারপরও লেখাটি এখনো সংক্ষিপ্তই। আসলে সর্বস্তরের লোকদের জন্য সহজবোধ্য সংক্ষিপ্ত লেখাই বেশি উপযোগী।
এ লেখায় কবীরা গুনাহের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা এবং বর্তমান সময়ে প্রচলিত কবীরা গুনাহের ভয়াবহ কিছু রূপের আলোচনা হয়েছে।
ব্যস, প্রয়োজন তো এটাই যে, আমরা যেন খুব গুরুত্বের সাথে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকি।
শরীয়তের শিক্ষা তো হল, নেকীর কাজ ছোট হলেও তা ছাড়ব না। গুনাহের কাজ ছোট হলেও তা করব না।
কিন্তু কবীরা গুনাহের বিষয়টি আরো অনেক বেশি ভয়াবহ।
এ ধরনের গুনাহের নামই তো হল موبقات অর্থাৎ ধ্বংসকারী গুনাহসমূহ, বরবাদকারী গুনাহসমূহ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সমস্ত মুসলিম উম্মতকে ধ্বংসাত্মক গুনাহ থেকে হেফাযত করুন
এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী আমলগুলো করার তাওফীক দান করুন।
মাওলানা মুহাম্মাদ ফজলুল বারী লেখাটি দেখে তা আলকাউসারের পাঠকদের জন্য পেশ করার আবেদন করলেন।
এ প্রেক্ষিতে লেখাটি আবার সম্পাদনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা লেখাটি কবুল করেন। এর মাধ্যমে উম্মতকে উপকৃত করেন।
যিনি এ লেখা প্রস্তুত করেছেন তাকে এবং তার খান্দানকে কিয়ামত পর্যন্ত ঈমান ও আফিয়াতের নিআমতে ভরপুর রাখেন এবং সমস্ত ফিতনা-ফাসাদ ও অনিষ্টতা থেকে নিরাপদ রাখেন।
সূত্রঃ মাসিক আল-কাউসার
আরো পড়ুন 👇👇
গীবতের ভয়াবহতাঃনঙ্গে আসলাফ আফজাল, হাজার বছরের গোনাহ এক মিনিটে মাফ