(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
এক মাওলানা সাহেব একজন বিধর্মীকে বলতেছেন তুমি মুসলমান হয়ে যাও?
তখন সে উত্তরে বলল হুজুর এতে আমার কি লাভ হবে? তখন মাওলানা সাহেব বললেন তোমার অতীতের যাবতীয় গোনাহ এক মিনিটে মাফ হয়ে যাবে।
সে কালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে যায়। প্রিয় পাঠকগণ! আপনারা বলুনতো দেখি সে কোথায় যাবে?
এখন আপনারা নি:সন্দেহে এ কথাটুকু জেনে রাখুন কাফির বেদ্বীন আল্লাহর দুশমন সুদীর্ঘ ৮০ বৎসর যাবত ১০০ বৎসর যাবত আল্লাহর নাফরমানীর কাজে লিপ্ত ছিল।
প্রাণ কণ্ঠাগত হওয়ার পূর্বমুহূর্তে হুশ বহাল থাকতে অন্তরের সাথে সে কালিমা পাঠ করল; এ কালিমা পাঠ করার পর নেক আমল করার সুযোগ পায় নাই বরং মৃত্যু মুখে পতিত হয়ে গেল।
এই পবিত্র কালিমার বদৌলতে বিনা হিসাবে চিরস্থায়ী বেহেশতের অধিবাসী হয়ে যাবে। তাই বলা হয় হাজার বছরের গোনাহ এক মিনিটে মাফ।
সংগ্রামী তাওহীদি জনতা! আপনারা উপরোক্ত কথাটুকু পুনরায় একটু চিন্তা করে দেখুন যে, এ কাফির মুশরিক বেদ্বীন ব্যক্তি এ পবিত্র কালিমা,
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রাসূলুল্লাহকে মনে প্রাণে অন্তরে স্থান দিয়ে তাকে বিশ্বাস করার বদৌলতে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পেয়ে চিরস্থায়ী বেহেশতের অধিকারী হয়েছে।
এ কালিমার বদৌলতে তার সমস্ত পাপ এক মিনিটে হয়ে যায় মাফ। বিনা হিসাবে হয়ে যাবে চিরস্থায়ী বেহেশতে তার বাস।
আবার যে ৮০ বৎসর অন্তরের সাথে বিশ্বাস করে মূর্তি পূজা করত সে মূর্তি পূজার মহব্বত অন্তর থেকে দূরীভূত করে একমাত্র এ পবিত্র কালিমা শরীফকে,
ক্বলবে-অন্তরে স্থান দিয়েছেন এবং সে ছিল আল্লাহ তায়ালার পরম শত্রু, এখন হয়ে গেল আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পিয়ারা দোস্ত।
ছিল কাফির বেদ্বীন, হল মুমিন মুসলমান। ছিল বারেগাহে এলাহীর থেকে বিতাড়িত হল বারেগাহী এলাহীর মধ্যে প্রিয় মাহবুব।
ছিল চিরস্থায়ী জাহান্নামী, হল চিরস্থায়ী জান্নাতী। ছিল মরদুদ হল মকবুল।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকল কাফির বেদ্বীনদেরকে মূর্তি পূজার মহব্বত অন্তর থেকে দূরীভূত করে ইসলামী কালিমা,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহকে তাদের অন্তরে স্থান দিয়ে মুমিন মুসলমান হওয়ার তাওফিক দান করুন, এই দোয়া আল্লাহর কাছে আমরা সকলে করি।
তারই পাশাপাশি আমরা যেন আখিরী নি:শ্বাস পর্যন্ত ইসলামী কালিমা মুখে জপে অন্তরে বিশ্বাস করতে পারি, এ ফরিয়াদ প্রভু তোমার শাহী দরবারে।
আমীন আমীন ছুম্মা আমীন।
(সূত্র:মাজালিছে সিরাজী -৩০০)