Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / গীবতের ভয়াবহতাঃনঙ্গে আসলাফ আফজাল

গীবতের ভয়াবহতাঃনঙ্গে আসলাফ আফজাল

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)

গীবতের ভয়াবহতা

بسم الله الرحمن الرحيم

হতে বাচতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে গীবত কাকে বলে।

গীবতের পরিচয় হাদিস শরীফে এভাবে দেওয়া হয়েছে যে,

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিতঃএকজন গীবত ে জিজ্ঞাসা করলে বলা হল,

গীবত হচ্ছে তুমি তোমার কোন মুসলিম ভাইয়ের পশ্চাত্যে তার সম্বন্ধে এমন কিছু দোষ চর্চা করলে,যা সে অপছন্দ করে।

সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাঃ  যদি বাস্তবে তার মধ্যে এমন দোষ থাকে?(তাহলে গীবত হবে) তিনি বললেন

যদি বাস্তবে সে দোষ থাকে তবেই তো গীবত হবে।আর যদি বাস্তবে না থাকে তবে তো সেটি অপবাদ হবে।    (আবু দাউদ হাঃ ৪৮৭৪)

আল্লামা ইবনুল আমীরের মতে

গীবতের পরিচয়

ان تذكر الانسان في غيبه بسؤ كان فيه

অর্থাৎ কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার দুর্ণাম করলে যদিও তার মাঝে সে দোষ থেকে থাকে।

গীবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোরআনের

يا ايها  اللذين امنو اجتنبو كثيرا من الظن،ان بعض الظن اثم ولا تجسسوا ولا يغتب بعضكم بعضا،ا يحب احدكم ان تأكل لحم اخيه ميتا فكرهتموه، وتقوا الله، ان الله توابا الرحيما

অর্থাৎ তোমাদের কেও কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? অবশ্যই তা অপছন্দ করে।

গীবতের ব্যপারে তোমরা কে ভয় কর,নিশ্চয়ই তিনি তাওবা কবুলকারী দয়ালু।

আলোচ্য আয়াতে গীবতকে মৃত ব্যক্তির গোশতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

গীবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে হাদিসের বাণী

الغيبة اشد من الزنا

গীবত যিনা থেকেও কঠোরতর, কারন মানুষ যিনা করে গোপনে আর গীবত করে ্যে।যিনাকার নিজেকে অপরাধী ভাবে গীবতকারী নিজেকে অপরাধী-ই মনে করে না।

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে রাতে আমাকে মিরাজে নেওয়া হল,

তখন উর্ধ্বাকাশে  আমি এমন একদল লোকদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি, যাদের নখ ছিল তামার,তারা নিজেদের নখ দিয়ে,

নিজেদের চেহারা ও বক্ষদেশ খামছে খামছে ছিরছিল। আমি জিব্রাঈল আঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম এরা কারা?

তিনি বললেন এরা ঐ সকল লোক যারা দুনিয়াতে মানুষের গোশত খেত অর্থাৎ গীবত করত।     (আবু দাউদ)

গীবত থেকে আসলাফদের সতর্কতা

গন তাদের বৈঠকে গীবতের সকল দরজা বন্ধ করে রাখতেন। যাতে করে তাদের মজলিস গোনাহের মজলিস না হয়।

ইব্রাহিম ইবনে আদহাম একবার কিছু লোককে দাওয়াত করলেন,তাদের সামনে খাবার ন করা হল।

মেহমানগন খেতে ে এক ব্যক্তির গীবত শুরু করল।তিনি বলে উঠলেন আগেকার বুযুর্গগন আগে মুখে রুটি দিতেন পরে গোশত।

এখনকার লোক আগে মুখে গোশত পুরছে অতপর রুটি। (তাজকিরাতুল আউলিয়া)

প্রিয় ক/পাঠিকা

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আসলাফদের অনুসরণ করার এবং গীবত থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুক।আমীন।

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost