(মুসলিমবিডি২৪ ডটক)
হাদীস শাস্ত্রের বিশিষ্ট ইমাম আল্লামা ইবনে আসাকির (র.)পৃথিবীতে নবী আগমনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এভাবে লিখেন যে,
হযরত আদম (আঃ) এবং হযরত নূহ (আঃ) এর মধ্যে ১২০০ বছরের ব্যবধান ছিল ।
এরপর হযরত নূহ (আঃ) থেকে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পর্যন্ত ১১৪২ বছর, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) থেকে হযরত মুসা (আঃ) পর্যন্ত ৫৬৫ বছর,
হযরত মুসা (আঃ) থেকে হযরত দাউদ (আঃ) পর্যন্ত ৫৭২ বছর ,হযরত দাউদ (আঃ) থেকে হযরত ঈসা (আঃ) পর্যন্ত ১৩৬৫বছর,
এবং হযরত ঈসা (আঃ) থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত ৬০০ বছরের ব্যবধান ছিল।
এ হিসেব অনুযায়ী হযরত আদম (আঃ) থেকে হযরত রাসুলে কারিম (সাঃ) পর্যন্ত পাচ হাজার বত্রিশ বছরের ব্যবধান হয়।
আর হযরত আদম (আ:)-এর বয়স প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে ৯৬০ বছর ছিল। তাই হযরত আদম (আ:)-এর পৃথিবীতে আগমনের প্রায় ছয় হাজার বছর পরে,
সপ্তম সহস্রাব্দে খাতামুল আম্বিয়া নবী করীম (সা.) এই পৃথিবীতে আগমন করেন। [তারীখে ইবনে আসাকির-১/১৯,২০]
নবী করীম সা: কবে, কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
এ কথার উপর সকলে একমত যে, নবীজীর জন্ম সে বছরের রবীউল আউয়াল মাসে হয়েছিল, যে বছর (আবরাহার) হস্তিবাহিনী খানায়ে কাবার উপর আক্রমণ করেছিল।
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে আবাবীল অর্থাৎ কিছু ক্ষুদ্র পাখি দ্বারা পরাজিত করেছিলেন। যার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বস্তুত: আসহাবে ফীলের ঘটনাও নবীজীর জন্মের বরকতের পটভূমি ছিল।
নবীজীর জন্মস্থানও হচ্ছে এ জায়গায়টি যা পরে হাজ্জাজের ভাই মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফের অধিকারে এসেছিল। [সীরাতে মুগলতাই-৫]
কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে আসহাবে ফীলের ঘটনা ৫৭১ খ্রিস্টাব্দের ২০শে এপ্রিল সংঘটিত হয়েছিল ।
এর দ্বারা বুঝাযায় যে, নবীজীর জন্ম হযরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের ৫৭১ বছর পর হয়েছিল।
(সূত্র: সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া)