(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
স্বামী গরীব হলে নারী সাহাবিদের রীতি ছিল, যখন তাঁদের কারও স্বামী ঘর থেকে বের হতো,
তিনি স্বামীকে বলতেন, ‘হারাম উপার্জন থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকবেন।
কারণ, ক্ষুধা লাগলে আমরা তা সহ্য করতে পারব; কিন্তু জাহান্নামের আগুন আমরা সহ্য করতে পারব না।’
কিন্তু বর্তমানে বহু নারী এমন আছে, যে তার স্বামীর আর্থিক সংকটে ধৈর্যধারণ করে না;
বরং তার কাছে এমন কিছু চায়, যার সামর্থ্য সে রাখে না।
তাহলে স্বামী বেচারা কী করবে? সে কি চুরি করবে বা ঘুষ নেওয়া শুরু করবে?
স্ত্রী এটা বোঝে না যে, ধৈর্য ঈমানের অঙ্গ।
শুধু তাই নয়, ধৈর্যশীলদের আল্লাহ অফুরন্ত ও বেহিসাব প্রতিদান দেবেন।
কাজেই প্রিয় বোন, তুমি এমন স্ত্রী হও, যে বিপদের বিরুদ্ধে স্বামীকে শক্তি জোগায়;
স্বামীর বিরুদ্ধে বিপদকে শক্তি জোগায় না।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণীটি ভালো করে মনে রেখো :
‘আদমসন্তানের সৌভাগ্যের উপকরণ তিনটি, আর দুর্ভাগ্যের উপকরণও তিনটি।
সৌভাগ্যেরগুলো : সতী নারী, উত্তম বাসস্থান ও উত্তম বাহন।
আর দুর্ভাগ্যেরগুলো : অসতী নারী, নিকৃষ্ট বাসস্থান, নিকৃষ্ট বাহন।’
.দাম্পত্যের ছন্দপতন’ বই থেকে
আরো পড়ুনঃ
স্ত্রীর লাশ সামনে রেখে স্বামীর হৃদয় নিংড়ানো কথা, স্বামী স্ত্রীর যদি মনোমালিন্য হয় তার সমাধান কিভাবে করবেন,আদর্শ পরিবার গঠনে স্বামী ও স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য