(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কোনো প্রতিষ্টানে শিক্ষকতা শুরু করলে অটোমেটিকলি কিছু দায়িত্ব নিজের কাধেঁ চলে আসে। ছাত্রদের পড়া-লেখার খেয়াল রাখা।
নীতি-নৈতিকতার খেয়াল রাখা। আচার-ব্যবহারের খেয়াল রাখা। সর্বোপরি একজন ছাত্র কিভাবে মানুষের মতো মানুষ হয়; একজন
আদর্শবান মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে শিক্ষক হিসাবে তার খেয়াল রাখা একান্ত জরুরি। এই সব দায়িত্ব পালন করতে গেলে অনেক ছাত্র তখন
শিক্ষকের কথা এড়িয়ে চলে। তাদের দেওয়া নিষেধের প্রাচীর ডিঙিয়ে চলে। এগুলো তারা বুঝে করুক বা না বুঝে এটি তাদের জন্য করা
ভুল। এ ভুলগুলো কিভাবে সংশোধন করবো? এসম্পর্কে আজকে কিছু লিখবো। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন! উপকৃত হবেন।
যদি কোনো ছাত্র ভুল করে তাহলে প্রথমে তাকে স্নেহের সাথে কোমলভাবে বুঝাবেন। এতে যদি কাজ না হয় , তাহলে তাকে কিছু শাসন
করবেন। এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে প্রতিষ্টানের দায়িত্বশীলদের তার অবস্থা অবগত করবেন। বারবার শাসন ও বুঝানোর পরও
যদি তার অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তাহলে তাকে এই প্রতিষ্টানে রাখা ঠিক হবে না। তাকে তার অভিভাবকের নিকট পাঠিয়ে দিবেন।
যেন তারা তাকে অন্য কোথাও ভর্তি করে দেয়। এতে আশা করা যায় তার অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং সে সেখানে কিছু শিখতে
পারবে। কিন্ত এই নীতি না মেনে তার সংশোধনের নামে তাকে অতিরিক্ত প্রহার করা, তার ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোর নীতি অবলম্বন
করে নিজের মন মস্তিষ্ক, আচার-ব্যবহার নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। কিন্ত এখনকার অধিকাংশ শিক্ষকদের অবস্থা
হলো তারা ছোটখাটো বিষয়েও ছাত্রদের প্রচুর মারধর করেন। হযরত আশরাফ আলী থানবি রহ. বলেন:“পড়া না পারলে তোমরা
ছাত্রদের মারধর করবে না। প্রয়োজনে তার পড়া-লেখা বিষয়ে অভিভাবককে জানাবে। তারা তার বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ
করবেন।” একবার যদি কোনো শিক্ষক থেকে ছাত্রদের ভক্তি-শ্রদ্ধা উঠে যায়, তাহলে ছাত্ররা সেই শিক্ষক হতে উপকৃত হতে পারে না।
তাছাড়া অনেক সময় মারধরের ভয়ে ছাত্ররা মুখস্থ পড়াও ভুলে যায়। তাই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝুন। ছাত্র সংশোধনের ব্যাপারে সচেতন হোন।
আরও পড়ুন:
হিফজ বিভাগের শিক্ষকদের জন্য ১৪ টি উপদেশ
দ্বীন শিক্ষার গুরুত্বঃ আল্লামা মনজুর নোমানী
কিয়ামতের ক্ষূদ্রতম আলামতঃসুশিক্ষার অভাব মূর্খতার সয়লাব
বদরুজ্জামান ভাইয়ের এই বয়ানটি শুনতে পারেন:https://youtu.be/4usczY1YGWU