(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
অহংকার কাকে বলে ? অহংকার হলো: জ্ঞান-বুদ্ধি, ইবাদত-বন্দেগী, মান-সম্মান, দৌলত ইত্যাদি যে কোনো বিষয়ে নিজেকে বড়
মনে করা আর অন্যকে সেক্ষেত্রে তুচ্ছ মনে করাকে অহংকার বলে।
অহংকার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়: (এক) নিজের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করা যে, আমি অপবিত্র
পানি থেকে সৃষ্ট এবং বর্তমানেও আমার পেটে, নাকে, চোখে ময়লা ভর্তি আর মৃত্যুর পর আমার সবকিছু পচে, গলে দুর্গন্ধময় হয়ে যাবে
ইত্যাদি। (দুই) এ কথা চিন্তা করা যে, সমস্ত গুণ একমাত্র আল্লাহর দান আমার বুদ্ধির জোরে কিংবা বাহুবলে এগুলো অর্জিত হয়নি; তাই
তো আমার চেয়ে কত বুদ্ধিমান বা শক্তিশালী ব্যক্তি তা অর্জন করতে পারেনি। অতএব আল্লাহর দয়ায় অর্জিত হয়েছে তার জন্য আমার
অহংকার করা বোকামি ছাড়া কিছু নয় বরং এর জন্য আল্লাহর সামনে বিনয়ী হওয়া উচিত। (তিন) যাকে ছোট মনে হবে; মনে না
চাইলেও জোরজবরদস্তি করে হলেও তার সাথে নম্র ব্যবহার করতে হবে। (চার) অভাবি ও গরিব শ্রেণীর লোকদের সাথে বেশি উঠাবসা
করা। (পাঁচ) মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করা। (ছয়) নিজের দোষ-ত্রুটি, নিন্দা ও সমালোচনা শুনেও প্রতিবাদ না করায। (সাত) ক্ষোভ
প্রকাশ পেলে ক্ষমা চেয়ে নেবে এমনকি ছোটদের থেকে হলেও। (আট) একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নিজের ছোটখাটো কাজ নিজেই করবে;
মজদুর বা চাকর নওকর না লাগানো। (নয়) আগে আগে সালাম দেওয়া অপরের সালামের প্রত্যাশী না হওয়া। (দশ) অহংকারের ধরন
ও বিবরণ জানিয়ে হক্কানী পীর মাশায়েখ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা জেনে সে অনুযায়ী আমল করা।
এছাড়াও স্থান, কাল, পাত্রভেদে তার পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। এসর্ম্পকে উক্ত ব্যক্তি তা বুঝতে পারবে। আল্লাহ তাআলা অহংকার থেকে
আমাদেরকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন
আরও পড়ুন:-
দম্ভ ও অহংকারের পরিণাম
পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ কিয়ামতের লক্ষন
যাদের সমালোচনা গীবত নয়
তৃতীয় কাজ যেভাবে করবেন