(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
ফিদিয়া বলা হয় কোন কিছুর বদলকে, যার দ্বারা অন্য কোন শরয়ী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করা যায়, যেমন: যে বদল দ্বারা
নামাজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করা যায় তাকে নামাজের ফিদিয়া বলে।
নিম্নে নামাজের ফিদিয়ার মাসায়েল বর্ণনা করা হলো: যদি কারো নামাজ ছুটে গিয়ে থাকে এবং তার কাজা করার পূর্বে মৃত্যু
এসে পড়ে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে এসব নামাজের জন্য ফিদিয়া দেওয়ার অসিয়ত করে যাওয়া তার উপর ওয়াজিব। সাধারণত এই
ফিদিয়াকে অনেকে নামাজের ফেতরা বলে থাকে। মাইয়্যিত এই ফিদিয়ার অসিয়ত করে গেলে ওয়ারিশগণ তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে
এই ফিদিয়া আদায় করবে। পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে আদায় হলে এই ফিদিয়া আদায় করা ওয়ারিশদের উপর
ওয়াজিব। এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে আদায় না হলে যতটুকু অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে তাতে সকল ওয়ারিশদের সম্মতি হতে হবে; তবে
নাবালিগের সম্মতি হলেও তার অংশ থেকে দেওয়া যাবে না। মৃত ব্যক্তির যিম্মায় কাযা রয়ে গেছে কিন্ত তিনি তার অসিয়্ত করে
যাননি এমতাবস্থায় যদি তার বালিগ উত্তরাধিকারিগণ নিজেদের সম্পদ থেকে স্বেচ্ছায় ফিদিয়া আদায় করেন তাহলে আশা করা যায়
আল্লাহ তাআলা এর ওসিলায় মৃত ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিবেন।
ফিদিয়ার পরিমাণ: সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ যা, নামাজের ফিদিয়ার পরিমাণও তাই। প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজ এবং বিতর
নামাজের জন্য এক একটা ফিদিয়া আদায় করতে হবে। প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং বিতর নামাজের অর্থাৎ প্রতিদিনের জন্য
ছয়টা ফিদিয়া আদায় করতে হবে।সাদকায়ে ফিতর যাদেরকে দেওয়া যায় নামাজের ফিদিয়াও তাদেরকে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন:-
হাদিসের আলোকে নামাজের গুরুত্ব
নামাজ শুরু করার পর যে ছয়টি মাসআলা লক্ষণীয়
ফজরের নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যে আটটি উপকার লাভ করবে
নিয়মিত যাদের ফজরের নামাজ ছুটে যায় তাদের করনীয়