আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকি। প্রতিদিনের কাজের ফাকে অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। এখন যদি
আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ আসে বা কেহ আমাদের কোনো কাজ করার কথা বলে তখন আমরা সেই কাজটি করতে পারি না বা
বলি সময় নেই। তারপরও যদি আমাদের উপর তা চাপিয়ে দেওয়া হয় তখন আমরা মনে মনে বলি; আচ্ছা ঠিক আছে! কাজটি পরে
করবো।কিন্ত করবো করবো বলে আর করা হয় না। সেটি থেকেই যায়। এই সমস্যার সমাধান মুফতি শফি রহ. খুব সুন্দর দিয়েছেন।
তিনি বলেন: যে কাজটি তুমি পরে করবে বলে পিছনে ঠেলে দিয়েছো; সেটি রয়েই যাবে আর করা হবে না। উহা যেন তুমি ঠেলে ফেলেই
দিয়েছো! অথচ কাজ করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে এই যে, দু'টি কাজের মধ্য দিয়ে অপর কাজটি বা তৃতীয় কাজটিও তুমি করে নাও।
অথবা ঐ দু'টি কাজ যা তুমি প্রথম থেকেই করে আসছো; এখন তৃতীয় কাজটি করতে চাচ্ছ। তাহলে প্রথমেই তুমি তোমার দু'টি কাজের
মধ্যখানে তৃতীয় কাজটি ইচ্ছার বিরূদ্ধে ঢুকিয়ে করে নাও। দেখবে নিশ্চয় তৃতীয় কাজটিও হয়ে গেছে।
এভাবে যদি তোমার একবার অভ্যাস হয়ে যায় যে, যখনই কোনো কাজ আসবে তখনই কাজটি করে নেবে তখন তুমি দেখতে পাবে যে,
তোমার কাজের মধ্যে অগ্রগতি হচ্ছে। আর কোনো কাজ থেমে থাকছে না।
আসলে মূল বিষয় হলো গরিমিসি করে কাজটি না করে ফেলে রাখার কথা শয়তানই আমাদের অন্তবে তৈরি করে আমাদের ধোঁকা দেয়।
সুতরাং শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে অন্যান্য কাজের সাথে করে নেব । আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
আরও পড়ুন:-
স্বর্নের পাতে যা লিখা ছিল
আরিফ বিল্লাহ ড. আব্দুল হাই রহ. এর নফসকে ধোঁকা দেওয়া
সাবধানে কথা বলুন!
প্রতিটি শিল্পকর্মের সূচনা ওহির মাধ্যমে হয়েছে