(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সবর শব্দের অর্থ হচ্ছে সংযম অবলম্বন ও নফসের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন লাভ।
কুরআন ও হাদিসের পরিভাষায়
‘সবর' এর তিনটি শাখা রয়েছে। ১/ নফসকে হারাম এবং নাজায়েয বিষয়াদি থেকে বিরত রাখা। ২/ নফস কে ইবাদাত ও আনুগত্যে বাধ্য করা।
৩/ যে কোন বিপদ ও সংকটে ধর্য ধারন করা। অর্থাৎ যে সব বিপদ-আপদ এসে উপস্থিত হয় সেগুলোকে আল্লাহর বিধান বলে মেনে নেওয়া
এবং এর বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদান প্রাপ্তির আশা রাখা। অবশ্য কষ্টে পড়ে যদি মুখ থেকে কোনো কাতর শব্দ উচ্চারিত হয়,
তবে তা সবর এর পরিপন্থি নয়। (ইবনে কাসির, সাঈদ ইবনে জুবায়ের রা. থেকে)।
সবর এর উপরোক্ত তিনটি শাখাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। সাধারণ মানুষের ধারণায় সাধারণত: তৃতীয় শাখাকেই
সবর হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথম দু'টি শাখা যে এক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, সে ব্যাপারে মোটেও লক্ষ করা হয় না। এমনকি এ দু'টি বিষয়ও যে
সবরের অন্তর্ভুক্ত, এ ধারণাও যেন অনেকের নেই। কুরআন হাদিসের পরিভাষায় ‘ধর্যধারণকারী' (সাবের) ঐ সমস্ত লোককেই বলা হয়
যারা উপরোক্ত তিন প্রকারেরই সবর অবলম্বন করেন। কোনো কোনো বর্ণনায় রয়েছে, হাশরের ময়দানে ঘোষণা করা হবে “ধর্যধারণকারীরা
কোথায়”?এ কথা শুনার সঙ্গে সঙ্গে সেসব লোক দাঁড়াবে, যারা তিন প্রকারেরই সবর করে জীবন অতিবাহিত করে গেছেন। এসব লোককে প্রথমেই
বিনা হিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। ইবনে কাসির এ বর্ণনা উদ্বৃত করে মন্তব্য করেছেন যে, কুরআনের বাণী:
সবরকারী বান্দাগণকে তাদের পুরষ্কার বিনা হিসাবে প্রদান করা হবে-এ আয়াতে সে দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:-👇
রাসুল সাঃ এর চারের অধিক বিবাহের তাৎপর্য
জুমার নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ইসলাম কী
ঈমান কী