(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
একাধিক মতের অবকাশ আছে, এমন ইজতেহাদী মাসআলা আমরা চিনবো কিভাবে?
এর সুনিশ্চিত আলামত হলো, ‘পূর্ববর্তী (আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ-এর) ইমামগণের মতপার্থক্য হওয়া
এবং ঐ বিষয়ে পরবর্তীতেও মতৈক্যে পৌঁছতে না পারা।' এবার আমরা সহজেই বুঝে নিতে পারি,
সব ইমামের সব দলিল সামনে আসার পরও যেহেতু ঐ আল্লাহভীরু ইমামগণ যে যার মতের উপর অটল আছেন,
এতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, এই মাসআলাটি ইজতেহাদী। একারণেই তো সবাই সবার ইজতিহাদ দলিলসম্মত হবার ব্যাপারে আস্বস্ত।
একই কারণে কেউ কারো মতকে বাতিল বলে উড়িয়েও দিচ্ছেন না।
একে অপরের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করছেন না। আর এটাই হলো সাহাবায়ে কেরামের রীতি।
সুতরাং এই উম্মতের ইমামগণ উচ্চমাত্রার খোদাভীতি ও জ্ঞান-গভীরতা সত্ত্বেও যখন কোনো একটি মাসআলায় একমত হতে না পারেন,
বারবার একে অপরের দলিল সামনে রেখে চিন্তা-ফিকির করার পরও হাজার বছর যাবৎ সেই মতপার্থক্য থেকেই গেছে,
তাহলে নিশ্চিতভাবে বুঝতে হবে, আসলে এ-মাসআলায় কোরআন-হাদীস মতেই দ্বিমতের এবং দুই রকম আমলের অবকাশ আছে।
তো যার বিবেক আছে, ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার মতো স্থিরতা যার আছে, যে দলবাজি ও পক্ষপাত-দোষ মুক্ত,
সে নির্দ্বিধায় স্বীকার করবে, এমনক্ষেত্রে আসলে উভয় মতই কোরআন-হাদীস সিদ্ধ। কিন্তু যার ভিতর ইনসাফ নেই, যে নিতান্ত বিবেকহীন,
সে তো আরও সরল বাস্তবতাও অস্বীকার করে বসে। আল্লাহ পাক সবাইকে এমন বিবেকশূন্যতা থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
আরো পড়ুন👉বিষয়বস্তুর দৃষ্টিতে হাদীসের প্রকারভেদ,৷ নারী সমাজ কেন আজ নির্যাতিত, মুত্তাকির পরিচয়