(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
রাসুল সাঃ এর আযওয়াজে মুতাহহারাত ও এ সাধারণ আইন অনুযায়ী চারজনের অধিক না থাকা উচিত ছিল।
কিন্তু সাথে সাথে এবিষয়টি ও প্রণিধানযোগ্য যে,উম্মাহাতুল মুমিনীন অন্য সকল মহিলাদের মত নন।
এ সম্পর্কে স্বয়ং কোরআন শরীফে ঘোষণা হচ্ছে ينساء النبي لستن كأحد من النساء
অর্থাৎ হে নবীর পত্নীগন তোমরা অন্য মহিলার মত নও।তারা হলেন উম্মতের সকলের মাতা।
তাই নবী করীম সা:এর ইন্তেকালের পর তারা আর কোনো পুরুষের বিবাহাধীনে আসতে পারে না।
তখন যদি সাধারণ বিধান অনুসারে আযওয়াজে মুতাহহারাত মধ্য হতে চারজনকে রেখে অন্যদের তালাক দিয়ে দেওয়া হতো,
তাহলে তাদের উপর কতইনা অত্যাচার করা হতো।তাদের অবশিষ্টঅবশিষ্ট জীবন নি:সঙ্গভাবে কাটাতে হতো।
রাহমাতুল্লিল আলামীনের সামান্য কিছু দিনের সাহচার্য,তাদের জন্য এক মহাশাস্তি হয়ে যেতো।
একদিকে বিশ্বজগতের গৌরব হুজুরে আকরাম এর সান্নিধ্য ও হারাতেন।অন্যদিকে তাদের এ অনুমতিও থাকতো না যে,
তারা অন্য কোথাও (বিবাহের মাধ্যমে)তাদের দু:খ লাঘব করতে পারেন। তাই আযওয়াজে মুতাহহারাত কে এ সাধারণ বিধানের অধীনে
আনা কোন ভাবেই সংগত ছিল না।বিশেষ করে সেসমস্ত মহিলা যাদের সাথে নবী করীম স:এর বিয়ে এজন্য সংঘটিত হয়েছিল,
যে,তাদের পূর্বের স্বামী জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়ে গেছেন এবং তার ফলে তারা সহায় সম্বলহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
হুজুর পাক স:তাদের মনতুষ্টির জন্য তাদেরকে বিয়ে করেন।এখন যদি তাদের তালাক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করতে হতো,
তাহলে তাদের কি অবস্থা হতো?এটা কেমন মনতুষ্টি হতো?? যখন সারা জীবনের জন্য তাদের বিয়ে থেকে বঞ্চিত করা হতো।
তাই শরীয়তের বিধানে চারের অধিক স্ত্রী রাখা শুধুমাত্র নবী করীম সা:এর বৈশিষ্ট্য বলে গণ্য করা হল।
তাছাড়া নবীজীর পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন অবস্থা,যা উম্মতের সকলের জন্য জাগতিক ও পারলৌকিক সকল কাজকর্মের জন্য বিবিধ আইন ও আদর্শ,
তা নবী করীম সা:এর পত্নীগনের মাধ্যমেই একমাত্র আমাদের নিকট পৌছাতে পারে।এটা এমন এক প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে ওলক্ষ যে,
তার জন্য নয়জন স্ত্রীও যথেষ্ট নয়।এ সকল অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর কোন লোক কি এ কথা বলতে পারে যে,
নবী করীম সা:এর বৈশিষ্ট্য (নাউযুবিল্লাহ)কোনো জৈবিক চাহিদা ভিত্তিতে হয়েছিল ?
(সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া)